করোনায় সংকটজনক দমদমের প্রৌঢ়, বাকি ৬ জনের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল
তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭-এ। করোনায় আক্রান্ত নবান্নের সরকারি আমলার লন্ডন ফেরত পুত্র, বালিগঞ্জের লন্ডন ফেরত তরুণ ও তাঁর বাবা-মা এবং বাড়ির পরিচারিকা, উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার স্কটল্যান্ড ফেরত ছাত্রী ও দমদমের প্রৌঢ়। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল সূত্রে খবর, এরমধ্যে করোনা আক্রান্ত দমদমের ৫৭ বছর বয়সী প্রৌঢ়ের অবস্থা-ই সংকটজনক। তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। করোনার পাশাপাশি তাঁর ডায়াবেটিস সহ অন্যান্য শারীরিক সমস্যাও রয়েছে। তবে বাকি ৬ জনের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।
উল্লেখ্য, ২৩ মার্চ বিকেল ৪টে থেকে ২৭ মার্চ মধ্যরাত পর্যন্ত রাজ্যে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। লক্ষ্য একটাই 'ব্রেক দ্য চেন'। তা সফল করতে কেন্দ্রের পরামর্শে সম্মতি জানিয়ে রাজ্যে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, বন্ধ থাকবে বেশিরভাগ দোকানপাঠ। বিকেল থেকে রাজ্যে কোনও গণপরিবহণ চলবে না বন্ধ থাকবে সব দোকান, অফিস, কলকারখানা, গোডাউন। ৭ জনের বেশি মানুষের জমায়েতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী হাসপাতাল, বিমানবন্দর, রেল স্টেশন, বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত পরিবহণ লকডাউনের আওতায় পড়বে না। খাদ্য ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বহনকারী গাড়িগুলিকেও ছাড় দেওয়া হবে। আদালত, সংশোধনাগার, স্বাস্থ্য পরিষেবা, পুলিস, আধাসেনা, বিদ্যুত্, জল, দমকল, জরুরি পরিষেবা, ব্যাঙ্ক, ATM, সবজি, ফল, মাছ-মাংস, দুধ, পাউরুটি আওতার বাইরে থাকবে। পেট্রোল পাম্প, রান্নার গ্যাস, ওষুধের দোকান ও সংবাদমাধ্যমও শাটডাউনের আওতায় থাকবে না।
আরও পড়ুন, ছবি : লকডাউন শুরু হতে আর কয়েক ঘণ্টা, কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণে রসদ মজুতের ভিড়
উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণ রুখতে আগেই আন্তঃরাজ্য বাস যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। ২১ তারিখ মধ্যরাত থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ভিন রাজ্য থেকে পশ্চিমবঙ্গে কোনও যাত্রীবাহী বাস আসবে না এবং যাবে না। ৩১ মার্চ পর্ষন্ত দেশব্যাপী রেলেও কার্ফু ঘোষণা করা হয়েছে। এই সময় পণ্যবাহী ট্রেন ছাড়া কোনও লোকাল, প্যাসেঞ্জার, এক্সপ্রেস ও মেট্রো চলবে না।