এটিএম জালিয়াতি রুখতে তত্পর ক্রেতা সুরক্ষা দফতর, সোমবার ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে বৈঠক
রক্ষী নিয়োগের ক্ষেত্রে দরকারে ব্যাঙ্কগুলি পুলিসের সাহায্য নিক। মন্তব্য সাধন পাণ্ডের।
নিজস্ব প্রতিবেদন : শহরজুড়ে এটিএম জালিয়াতির ঘটনায় এবার নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। ভবিষ্যতে এরকম জালিয়াতির ঘটনা আটকাতে তত্পর রাজ্য। জালিয়াতি আটকাতে কড়া পদক্ষেপ নিতে চায় ক্রেতা সুরক্ষা দফতর। এই প্রসঙ্গে সোমবার ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসবে ক্রেতা সুরক্ষা দফতর। বেলা ৩টে থেকে শুরু হবে বৈঠক। সেই বৈঠকেই এটিএমগুলির নিরাপত্তায় কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, তার একটা রূপরেখা তৈরি করা হবে বলে সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন, কসবার হোটেলে ঘাঁটি গেড়েই শহরজুড়ে এটিএম জালিয়াতির ব্লুপ্রিন্ট আঁকে হ্যাকাররা
অন্যদিকে এদিন ব্যাঙ্ক জালিয়াতির প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে বলেন, কোনওভাবেই এটিএম-এর নিরাপত্তার সঙ্গে আপোস করা উচিত নয়। কোনও এটিএম রক্ষীবিহীন না রাখাই শ্রেয়। কারণ এটিএম রক্ষী না থাকার সুযোগেই তথ্য চুরি করতে পেরেছে দুষ্কৃতীরা। রক্ষী নিয়োগের ক্ষেত্রে দরকারে ব্যাঙ্কগুলি পুলিসের সাহায্য নিতে পারে বলেও পরামর্শ দেন তিনি।
উল্লেখ্য, এটিএম মেশিনে স্কিমার লাগিয়ে শহর জুড়ে জাল বিছিয়েছিল হ্যাকারের দল। স্কিমারের মাধ্যমে প্রথমে এটিএম কার্ডের তথ্য চুরি করে হ্যাকাররা। তারপর নকল এটিএম কার্ড বানায় তারা। এরপর সেই নকল কার্ড ব্যবহার করে দিল্লির বিভিন্ন এটিএম থেকে টাকা তুলে নেওয়া হয়। প্রতারিত হন স্টেট ব্যাঙ্ক, কানাড়া ব্যাঙ্ক, পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক, অন্ধ্র ব্যাঙ্ক, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের বহু গ্রাহক। একের এক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা লোপাট করে জালিয়াতরা।
আরও পড়ুন, সন্তান চাইতেন না স্বামী! নারকেলডাঙায় গৃহবধূ খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য
ব্যাঙ্ক জালিয়াতির তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই দিল্লির বসন্ত বিহার থেকে ২ জন রুমানিয়ান নাগরিককে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিসের সিট। তাদের জেরা করে দিল্লির হউজ খাসে সন্ধান মিলেছে আরও ৩ অভিযুক্তের। যদিও তাদের ধরতে পারেনি পুলিস। দু জায়গা থেকেই প্রচুর ভুয়ো এটিএম কার্ড, ম্যাগনেটিক টেপ ও মাইক্রোচিপ উদ্ধার করেছে পুলিস।
আরও পড়ুন, বাগনানে ঈশিতা খুনে চেন্নাই থেকে গ্রেফতার শুভময় ও তার বাবা-মা
ধৃত ২ রুমানিয়ান নাগরিককে জেরা করে পুলিস জানতে পেরেছে, তাদের মধ্যে একজন গত ৩০ এপ্রিল থেকে ৭ মে পর্যন্ত কলকাতাতেই ছিল। কসবার প্রান্তিক পল্লিতে একটি অভিজাত হোটেলে ঘাঁটি গেড়েছিল তারা। সেখানে বসেই তৈরি করা হয় শহর জুড়ে এটিএম জালিয়াতির ব্লুপ্রিন্ট।