প্রকল্পের বেহাল দশা, বরাদ্দ বন্ধ করতে পারে কেন্দ্র

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বিশেষ আর্থিক সাহায্য চেয়ে বারবার কেন্দ্রের দ্বারস্থ হচ্ছেন, তখনই একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পে এরাজ্যের জন্য বরাদ্দ টাকা কমাচ্ছে কেন্দ্র। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জাতীয় গ্রামীণ স্বাস্থ্য মিশন প্রকল্পে রাজ্যের বরাদ্দ ১০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে।

Updated By: Jun 7, 2012, 08:41 PM IST

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বিশেষ আর্থিক সাহায্য চেয়ে বারবার কেন্দ্রের দ্বারস্থ হচ্ছেন, তখনই একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পে এরাজ্যের জন্য বরাদ্দ টাকা কমাচ্ছে কেন্দ্র। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জাতীয় গ্রামীণ স্বাস্থ্য মিশন প্রকল্পে রাজ্যের বরাদ্দ ১০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে। ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী ওই ঘটনা জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে। চিঠিতে তিনি ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। অবশ্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বক্তব্য ২০১১-১২ আর্থিক বছরে ঐ প্রকল্পে বরাদ্দ টাকা রাজ্য খরচ করতে না পারার কারণেই এই সিদ্ধান্ত।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ২০১১-১২আর্থিক বছরে জাতীয় গ্রামীণ স্বাস্থ্য মিশন প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গের জন্য ৪০৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করে। যার মধ্যে রাজ্য সরকার মাত্র ৫৭ কোটি টাকা খরচ করতে পেরেছে। শুধু তাই নয়, এই ৫৭ কোটি টাকা খরচের শংসাপত্র এখনও পৌঁছয়নি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকে। মন্ত্রকের আধিকারিকদের বক্তব্য, গত আর্থিক বছরের বরাদ্দ টাকার বড় অংশই যেহেতু খরচ হয়নি, তাই ঐ প্রকল্পে চলতি আর্থিক বছরে কেন্দ্রীয় সাহায্য ১০ শতাংশ কমানো হয়েছে। সাধারণভাবে জাতীয় গ্রামীন স্বাস্থ্য মিশন প্রকল্পের ৮৫ শতাংশ টাকা কেন্দ্র ও ১৫ শতাংশ টাকা রাজ্য দেয়। কিন্তু ঐ রাজ্যের ক্ষেত্রে চলতি আর্থিক বছরে এক ধাক্কায় বরাদ্দ ১০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের।
গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি এই প্রকল্পের উপরে সর্বৈব নির্ভরশীল। স্বাভাবিক ভাবেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে কেন্দ্রের সাহায্যের পরিমাণ কমে গেলে গ্রামীন স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় বড়সড় ধাক্কা লাগতে পারে। শুধু কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকই নয়, একই ধরণের চিঠি এসেছে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রক, অর্থাত্‍‍ শরদ পাওয়ারের দফতর থেকেও। যে চিঠিতে জানানো হয়েছে মত্‍‍সচাষ ও পশুপালনের বিভিন্ন প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গ প্রায় ৪০ কোটি টাকা খরচে ব্যর্থ। চিঠিতে বলা হয়েছে, এমন অবস্থা চলতে থাকলে চলতি আর্থিক বছরে ওই খাতে বরাদ্দ বন্ধ করবে কেন্দ্র।
 

.