রাজা চলে বাজার সে, কুত্তা ভৌকে হাজার সে: কাটজুকে মমতা

"রাজা চলে বাজার সে, কুত্তা ভৌকে হাজার সে..." আজ বেঙ্গল বিল্ডসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই ভাষাতেই প্রাক্তন বিচারপতি ও প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মার্কণ্ডেয় কাটজুর সমালোচনার জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী জানান প্রাক্তন বিচারপতির কোনও চিঠিই তিনি পাননি। এর আগে আজই কড়া সমালোচনা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠান কাটজু। চিঠিতে তিনি বলেন, রাজ্যের মন্ত্রী-আমলারা মুখ্যমন্ত্রীর সামনে খোলামনে কথা বলতে ভয় পাচ্ছেন।

Updated By: Nov 29, 2012, 02:07 PM IST

"রাজা চলে বাজার সে, কুত্তা ভৌকে হাজার সে..." আজ বেঙ্গল বিল্ডসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই ভাষাতেই প্রাক্তন বিচারপতি ও প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মার্কণ্ডেয় কাটজুর সমালোচনার জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী জানান প্রাক্তন বিচারপতির কোনও চিঠিই তিনি পাননি।
এর আগে আজই কড়া সমালোচনা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠান কাটজু। চিঠিতে তিনি বলেন, রাজ্যের মন্ত্রী-আমলারা মুখ্যমন্ত্রীর সামনে খোলামনে কথা বলতে ভয় পাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রীর খামখেয়ালি আচরণে তাঁরা ভীত-সন্ত্রস্ত। এই ধরণের আচরণ বদলে সহিষ্ণুতা না দেখাতে পারলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশি দিন মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারবেন না বলেও চিঠিতে সরাসরি লিখেছেন তিনি।
প্রয়াত শিবসেনা নেতা বাল থ্যাকারের অন্তেষ্ট্যি নিয়ে ফেসবুকে মন্তব্য করায় দুই তরুণীকে গ্রেফতার করেছিল মহারাষ্ট্র পুলিস। পরে, সংশ্লিষ্ট পুলিস আধিকারিকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্রের হেনস্থার সঙ্গে জড়িত পুলিস আধিকারিকদের বিরুদ্ধে একইরকম পদক্ষেপ নেওয়ার জন্যও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আহ্বান জানিয়েছেন মার্কণ্ডেয় কাটজু। অম্বিকেশ মহাপাত্র, শিলাদিত্য চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা তুলে নিয়ে তাঁদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্যও মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন কাটজু।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দময়ন্তী সেনকে যেভাবে পদচ্যুত করেছিলেন তা ভুল ছিল বলে মনে করেন কাটজু। অবিলম্বে তাঁর কাছে ক্ষমা চেয়ে তাঁর পদে (পুলিস কমিশনার ক্রাইম) ফিরিয়ে আনতেও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন মার্কণ্ডেও। এমনকী একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান চলাকালীন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী তানিয়া ভরদ্বাজকে মাওবাদী বলে অপমান করার জন্যও মুখ্যমন্ত্রীকে ক্ষমা চাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কাটজু। তিনি মনে করেন এর ফলে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছেই শুধু নয় সারা দেশের কাছেই অন্তত কিছুটা হলেও তাঁর হারানো ভাবমূর্তি ফিরে পাবেন মুখ্যামন্ত্রী।
কাটজু লিখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে তিনি যতবার পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন মন্ত্রী-আমলারাও তাঁর সামনে কথা বলতে ভয় পাচ্ছেন। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর খামখেয়ালি আচরণের ভয়ে তাঁরা সবসময় তটস্থ। মন্ত্রী, আমলারা ভিন্নমত পোষণ করলেও তাঁদের কথা বলার অধিকার থাকা উচিত বলে মনে করেন কাটজু। এই প্রসঙ্গে প্রথম কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের উদাহরণ দিয়েছেন তিনি। উদাহরণ টেনেছেন কৌটিল্যর অর্থশাস্ত্র থেকেও।
চিঠির শেষে কাটজু লিখেছেন একসময় তিনিই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করতেন। কিন্তু এখন তাঁর অসহিষ্ণু আচরণকে সমালোচনা না করে তিনি থাকতে পারছেন না। শুভাকাঙ্খী হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁর অনুরোধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেন দেরি হওয়ার আগেই তাঁর ভুল শুধরে নেন।

কাটজু লিখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে তিনি যতবার পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন মন্ত্রী-আমলারাও তাঁর সামনে কথা বলতে ভয় পাচ্ছেন। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর খামখেয়ালি আচরণের ভয়ে তাঁরা সবসময় তটস্থ। মন্ত্রী, আমলারা ভিন্নমত পোষণ করলেও তাঁদের কথা বলার অধিকার থাকা উচিত বলে মনে করেন কাটজু। এই প্রসঙ্গে প্রথম কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের উদাহরণ দিয়েছেন তিনি। উদাহরণ টেনেছেন কৌটিল্যর অর্থশাস্ত্র থেকেও। চিঠির শেষে কাটজু লিখেছেন একসময় তিনিই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করতেন। কিন্তু এখন তাঁর অসহিষ্ণু আচরণকে সমালোচনা না করে তিনি থাকতে পারছেন না। শুভাকাঙ্খী হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁর অনুরোধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেন দেরি হওয়ার আগেই তাঁর ভুল শুধরে নেন।

.