লাইসেন্স বাতিলের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের জেরে ঢাকুরিয়া এএমআরআই হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল করার নির্দেশ দিলেন মুখ‍মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরই নির্দেশে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ৩০৪ ধারায় এফআইআর দায়ের করেছে কলকাতা পুলিশ।

Updated By: Dec 9, 2011, 03:57 PM IST

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের জেরে ঢাকুরিয়া আমরি হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ‍মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরই নির্দেশে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামল দায়ের করেছে কলকাতা পুলিশ। এখনো পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে হাসপাতালের ছ'জন কর্তাকে। দশ-বারো জনকে জেরার পর তাঁদেরও গ্রেফতার করা হতে পারে। প্রশ্ন উঠছে রাজ্যের ভূমিকা নিয়েও। হাসপাতালে সাত শতাংশ মালিকানা থাকায় পরিচালন পর্ষদে সরকারের এক জন প্রতিনিধি ছিলেন। তাঁর ভূমিকা নিয়েও তদন্ত চলছে।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩০৪, ৩০৮, ২৮৫ এবং ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করেছে কলকাতা পুলিস।

পুলিস কমিশনারের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রাজ্যসরকার। অগ্নিনির্বাপণ বিধি লঙ্ঘন করার দায়ে ১১ সি, ১১ জে এবং ১১এল ধারায় মামলা দায়ের করেছে দমকল। লেক থানায় দমকলের তরফে অভিযোগ দায়ের করাহয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, গত জুলাই মাসে হাসপাতালের ভূগর্ভস্থ গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গাটি খালি করার নির্দেশ দিয়েছিল দমকল। ৫ সেপ্টেম্বর হলফনামাদিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, তিন মাসের মধ্যে ওই জায়গা খালি করে দেওয়াহবে। কিন্তু কাজের কাজ যে তারা কিছুই করেনি, শুক্রবারের ঘটনাতেই তা স্পষ্ট।আগুন লাগার পর ওই বেসমেন্ট বা ভূগর্ভস্থ পার্কিং লট থেকে বহনযোগ্য এলপিজিসিলিন্ডার, ওষুধপত্র, বর্জ্য, ডিজেল ও গালার মতো বিভিন্ন ধরনের দাহ্যপদার্থ উদ্ধার করা হয়েছে।
সেই কারণেই হাসপাতালের পরিচালন পর্ষদের রাধেশ্যাম গোয়েঙ্কা, মণীশ গোয়েঙ্কা, প্রশান্ত গোয়েঙ্কা, শ্রবণ টোডি, রবি টোডি এবং দয়ানন্দ আগরওয়ালকে লালবাজারে ডেকে পাঠিয়ে গ্রেফতার করা হয়। পুলিস এবং দমকল তাঁদের বিরুদ্ধে যে যে ধারায় মামলা রুজু করেছে, সে সবই জামিন অযোগ্য এবং তা প্রমাণিত হলে তিন বছর থেকে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। সরকারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগের এই হাসপাতাল বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের দায় এ়ড়াতে পারে না রাজ্য সরকার এবং কলকাতা পুরসভা। এই হাসপাতালে সাত শতাংশ মালিকানা রয়েছে রাজ্য সরকারের। সেই কারণেই পরিচালন পর্ষদে রয়েছে রাজ্যের এক জন প্রতিনিধি। পুলিস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করায় পরিচারলন পর্ষদের অন্য সদস্যদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানা গিয়েছে।

.