Tala Bridge: পুজোর আগে বড় উপহার, মমতার হাত ধরে খুলে গেল নতুন টালা ব্রিজ
মমতা আরও বলেন, গত ১১ বছরে আমরা বহু পরিকাঠানমো নির্মাণ করেছি। মা উড়াল পুলে আমরা খরচ করেছি ৪৪৫ কোটি টাকা। কামালগাজি উড়ালপুলে ১০০ কোটি টাকা
সুতপা সেন: প্রায় আড়াই বছরের যন্ত্রণার অবসান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে খুলে গেল টালা ব্রিজ। নবনির্মিত টালা ব্রিজের উদ্বোধন করে মমতা বলেন, উত্তর কলকাতায় এটি একটি বড় প্রাপ্তি। মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার পর দেখেছিলাম কীরকম সমস্যা হয়। কতটা ঘুরে ঘুরে যেতে হতো। চার থেকে পাঁচ বছর মানুষ কষ্ট করেছে। টালা ব্রিজ যখন ভাঙে হয় তখন ৪ মাস সময় নিয়েছিল রেল। তার পরেও তাড়াতাড়ি কাজটা হয়ে গিয়েছে। ব্রিজ নির্মাণকারী সংস্থা, শ্রমিকরা যারা দিনরাত এক করে কাজ করেছে তাদের ধন্যবাদ। ফুটপাত সিঁড়ি ও সার্ভিস রোড নিয়ে সমস্যা রয়েছে। পূর্ত দফতরকে বলছি যাতে তাড়াতাড়ি কাজটা শেষ করে ফেলা যায়। তার সেই কথা মেনে দ্রুত কাজ শেষ করে ফেলেছে।
আরও পডুন- পুজোয় জোড়া ভিলেন, ডেঙ্গির পাশাপাশি লাফিয়ে বাড়ছে কোভিড পজিটিভিটি রেট
নতুন ব্রিজের কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগের ব্রিজের থেকে নতুন ব্রিজ আরও চওড়া। আগেরটা ছিল ২ লেনের। এটা ৪ লেনের। ভারবহনের ক্ষমতাও অনেক বেশি। নতুন ব্রিজের দৈর্ঘ ৭৫০ মিটার। চিত্পুরের দিকের র্যাম্পের দৈর্ঘ ৩০০ মিটার। ব্রিজ তৈরি করতে রাজ্য সরকারের খরচ হয়েছে ৫০৪ কোটি টাকা। এর জন্য রেলকেও টাকা দিতে হয়েছে। পুরনো ব্রিজ ভাঙার জন্য রেল নিয়েছে প্রায় ৯০ কোটি টাকা। মাঝেরহাট ব্রিজ ভাঙতে খরচ হয়েছিল ৩৪ কোটি টাকা দিতে হয়েছে। পুজোর আগে এর ফলে যান চালাচলে সুবিধে হবে। এখনই ভারী গাড়ি চলাচল করবে না। কয়েকদিন সময় নেওয়া হবে।
মমতা আরও বলেন, গত ১১ বছরে আমরা বহু পরিকাঠানমো নির্মাণ করেছি। মা উড়াল পুলে আমরা খরচ করেছি ৪৪৫ কোটি টাকা। কামালগাজি উড়ালপুলে ১০০ কোটি টাকা, ভিআইপি, দক্ষিণশ্বরে প্রচুর খরচ করা হয়েছে। রেল মন্ত্রী থাকাকালীন কলকাতার জন্য সব রেল প্রকল্পগুলি পাস করিয়ে দিয়েছিলাম। আশা করছি আগামিদিনে ওইসব প্রকল্প শেষ হলে ট্রাফিক জ্যাম কমে যাবে। আগে যখন বাড়ি থেকে বিমানবন্দর যেতাম তখন সময় লাগত ১ ঘণ্টা। এখন লাগে ২০ মিনিট। রাজ্যে একাধিক এয়ারপোর্ট হচ্ছে। কপ্টার সার্ভিস চালু হয়েছে। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন হয়ে যাবে।
রেলের উদ্দেশ্যে মমতা এদিন বলেন, এখানে শদেড়েক গরিব মানুষ রয়েছে। ওদের জন্য আমরা রেলের একটি খালি জমি কিনতে চাই। আপনারা যদি ওই জমি দেন তাহলে ওখানে ওইসব লোকের জন্য় বাড়ি তৈরি করে দেব। তা না হলে খালের ধারে ওদের আমাকে রাখতে হবে। আর একটা কথা দেখছি পাড়ায় হঠাত্ করে কিছু দোকান বসে যাচ্ছে। প্রশাসন কিছু করছে না। রাস্তার সবটচাই যদি দখল হয়ে যায় তাহলে চলব কী করে। অনেক হয়েছে আর নয়।