Mamata Banerjee in Assembly: 'তুমি চুরি করে সাধু হলে আজ'! বিধানসভায় শুভেন্দুকে কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রীর
বিধানসভায় ধ্বনিভোটে পাস ইডি-সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব। প্রস্তাবের পক্ষে বক্তব্য় রাখতে গিয়ে বিরোধী দলনেতাকে অলআউট আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সুতপা সেন: 'তুমি চুরি করে সাধু হলে আজ'! বিধানসভায় শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। রীতিমতো গর্জে উঠলেন, ' 'ক'টা পেট্রোল পাম্প, ক'টা ট্রলার আছে, সব জানি। ক'বার তল্লাশি হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার সময় দিন, আমরা দেখিয়ে দেব, কার বাড়িতে কী আছে'! শুধু তাই নয়, ধ্বনি ভোটে পাস হয়ে গেল ইডি-সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাবও।
রাজ্যে দুর্নীতি ইস্যুতে এখন ব্যাকফুটে তৃণমূল। স্রেফ এসএসসি নিয়োগকাণ্ডে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা নয়, মন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়ি ও ফ্ল্যাটেও তল্লাশি চালিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। গোরুপাচারকাণ্ডে জেল হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডল। ইডি-সিবিআইয়ের অতি সক্রিয়তায় আতঙ্ক? এদিন বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাব পেশ করে তৃণমূল। প্রস্তাবের পক্ষে আওয়াজ তোলেন শাসকদলের ১৮৯ জন বিধায়ক, আর বিপক্ষে বিজেপির ৬৪ জন।
১৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে অধিবেশন। যেদিন ইডি-সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব পেশ করল শাসকদল, সেদিনই প্রথম বিধানসভায় এলেন মুখ্যমন্ত্রী এবং কার্যত অলআউট আক্রমণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিরোধীদের। বললেন, 'আমি বিশ্বাস করি না, ইডি-সিবিআইকে ব্যবহার করছেন মোদী। এই তল্লাশি পিছনে রয়েছে বিজেপি'। সম্প্রতি বিজেপির নবান্ন অভিযানে আটক করা হয় শুভেন্দু অধিকারীকে। এরপর এক মহিলা পুলিসকর্মী যখন গায়ে হাত দিতে ভ্যানে উঠতে বলেন, তখন প্রতিবাদ করেন বিরোধী দলনেতা। চেঁচিয়ে ওঠেন, 'ডোন্ট টাচ মাই বডি। ইউ আর লেডি আই অ্যাম মেল'। বিধানসভায় সেই প্রসঙ্গ তুলেও কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: এসএসসি দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার সুবীরেশ ভট্টাচার্য
এর আগে, এদিন অধিবেশনে শুরুতে তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য বক্তব্য রাখতে উঠলে, হইচই শুরু করে দেন বিজেপি বিধায়করা। বিরোধী শিবির থেকে স্লোগান ওঠে, 'চোর, চোর'! কেন? রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তদন্ত করছে সিবিআই। শুধু তাই নয়, আদালতে নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে মানিক ভট্টাচার্যকে। বস্তুত, প্রথম দিনেই শাসক ও বিরোধীদের শিবিরে বিক্ষোভ-পাল্টা বিক্ষোভে পণ্ড হয়ে যায় অধিবেশন। সেদিন বিধানসভায় প্রথমে হাতে প্ল্যাকার্ড হাতে শুভেন্দু অধিকারীর কটাক্ষ করেন তৃণমূল বিধায়করা। এরপর পালটা দুর্নীতি ইস্যুতে বিধানসভা আলোচনার দাবি তোলেন বিরোধীরা। সরকারের বিরুদ্ধে রীতিমতো স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। শুরু হয় হই-হট্টগোল। শেষপর্যন্ত বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন তাঁরা।