ED Chargesheet Against Partha: পার্থ-অর্পিতার ১০৩ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত, আদালতে এল ২ ট্রাঙ্ক ভর্তি নথি
জমি, ফ্ল্যাট, ফার্ম হাউস মিলিয়ে ৪৮. ২২ কোটি টাকা সম্পত্তি। ৩২টি ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্ট থেকে মিলেছে ৭ কোটি ৮৯ লাখ টাকা উদ্ধার হয়েছে
পিয়ালি মিত্র ও বিক্রম দাস:পার্থ চট্টেপাধ্যায় ও তাঁর সঙ্গী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের কাছে থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে ১০৩ কোটি টাকা সম্পত্তি। জমি, ফ্ল্যাট, ফার্ম হাউস মিলিয়ে ৪৮. ২২ কোটি টাকা সম্পত্তি। ৩২টি ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্ট থেকে মিলেছে ৭ কোটি ৮৯ লাখ টাকা উদ্ধার হয়েছে। সোমবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে পার্থ ও অর্পিতার বিরুদ্ধে চার্জসিট জমা দিচ্ছে ইডি। তার জন্য দুটি ট্রাঙ্ক ও ঝোলায় বিপুল নথি আদালতে আনল ইডি। ওই নথিতে এমনটাই দাবি করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন-অভিষেককে ব্যক্তি আক্রমণ শুভেন্দুর; নিশানা করার মতো রসদ আমাদেরও কম নেই, সরব কুণাল
উল্লেখ্য, ওই বিপুল পরিমাণ নথি নিয়ে এসে চার্জশিট জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করল ইডি। সূত্রের খবর পার্থ ও অর্পিতাকে কাস্টডিয়াল ট্রায়ালের ব্যাপারে দরবার করতে পারে ইডি। জানা যাচ্ছে ওই চার্জশিটে দেওয়া হয়েছে ১৫ হাজার পাতার নথি। এর মধ্যে রয়েছে বহু নথি, ছবি ও সাক্ষীর বয়ান।
গত ২৩ জুলাই গ্রেফতার করা হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে। ওই দিনই সন্ধেয় গ্রেফতার করা হয় পার্থ সঙ্গী অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়কে। এরপর পার্থ ও অর্পিতার বিরুদ্ধে দীর্ঘ তদন্ত চলে। অর্পিতার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় আরও টাকা। সূত্রের খবর ইডি চাইছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে জেল হেফাজতে রেখেই তাদের বিচার করা যায় তার আবেদন জানাবে ইডি। ওই চার্জশিটে রয়েছে বহু তথ্যপ্রমাণ ও অনেকের বয়ান।
এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআই বর্তমানে হেফাজতে নিয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে। সিবিআইয়ের জেরায় পার্থ জানিয়েছেন, ফাইলে সই করার ব্যাপারে তিনি নির্ভর করেছিলেন আমলা-আধিকারিকদের উপরে। সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন, 'ডিপার্টমেন্ট থেকে ফাইল আসত। আমি শুধু সই করতাম। আমার খুব সীমিত ক্ষমতা ছিল। তাঁদের উপর ভরসা রেখেছিলাম।' প্রশ্ন উঠছে, কারা এই তারা। অন্যদিকে, অর্পিতা জানিয়েছেন তাঁর বাড়ি থেকে পাওয়া টাকার ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। তিনি ফ্ল্য়াটে থাকলেও তাঁর সামনে ওই টাকা উদ্ধার হয়নি।
প্রসঙ্গত, ১৬ সেপ্টেম্বর প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয় আলিপুর আদালত। ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সেই আবেদনের উপরই শুনানি হয়। আদালতকে সিবিআই জানায় যে, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে সবটা জানেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি-ই 'মাস্টারমাইন্ড'! তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই এই দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে আরও অনেক সূত্র মিলবে বলে মনে করছে তারা। আদালত সিবিআই-এর সেই দাবিকেই মান্যতা দেয়। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর জামিনের আবেদন খারিজ করে তাঁকে সিবিআই হেফাজতে পাঠায়।