নাম না করে মমতার অভিযোগের সারবত্তা নিয়ে প্রশ্ন রাজ্যপালের
সেনা কাণ্ডে এবার রাজভবন-নবান্ন সংঘাত। নাম না করে মমতার অভিযোগের সারবত্তা নিয়ে প্রশ্ন রাজ্যপালের। টুইটে পাল্টা আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রীর। রাজভবনে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে নালিশ জানাতে গিয়ে, রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন মন্ত্রী বিধায়করা।
ওয়েব ডেস্ক: সেনা কাণ্ডে এবার রাজভবন-নবান্ন সংঘাত। নাম না করে মমতার অভিযোগের সারবত্তা নিয়ে প্রশ্ন রাজ্যপালের। টুইটে পাল্টা আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রীর। রাজভবনে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে নালিশ জানাতে গিয়ে, রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন মন্ত্রী বিধায়করা।
টোলপ্লাজায় সেনার সমীক্ষা। বেজায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। নবান্নে মমতার রাতপাহারা। সংসদের দুই কক্ষে ঝড়। ঘটনা অনেক। কিন্তু ঘটার আরও ছিল বাকি। যখন মুখ খুললেন রাজ্যপাল। বললেন, ‘সেনাবাহিনীর মতো দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করার আগে প্রত্যেকের সতর্ক হওয়া উচিত।’
আরও পড়ুন নোট সমস্যা মেটাতেই ম্যাজিকের মতো কাজ করছে E-ওয়ালেট
একটা কথা। আর তাতেই যেন আগুনে ঘি। নাম না করলেও, বার্তা কার প্রতি, রাজ্যপালের কথায় তা স্পষ্ট। যাঁকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্য, তিনিও পাল্টা আক্রমণ শানালেন তাঁর মতো করেই। টুইটে মুখ্যমন্ত্রী লিখলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের ভাষায় কথা বলছেন রাজ্যপাল! আটদিন তিনি শহরেই ছিলেন না। বিবৃতি দেওয়ার আগে সমস্ত ঘটনা যাচাই করা উচিত। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।
সেনা সমীক্ষার প্রতিবাদে শুক্রবার বিধানসভা থেকে সোজা রাজভবন গিয়েছিলেন শাসকদলের নেতামন্ত্রীরা। কিন্তু রাজ্যপাল না থাকায় ফিরে আসেন তাঁরা। ঠিক হয়, শনিবার রাজ্যপালের উপস্থিতিতে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। তাতে থাকবে গণতন্ত্র হরণের গুরু অভিযোগ। কিন্তু ততক্ষণে রাজ্যের সাংবিধানিক হেড মাস্টার মশাই কামান দেগে দিয়েছেন। তাই ঘেঁটে গিয়েছে শাসকদলের কর্মসূচিও। একেবারে যুদ্ধং দেহি মেজাজ। এরপর আরও চড়া সুরে আক্রমণ।
আরও পড়ুন জনধন অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের কী পরামর্শ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী?