মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মিটবে কি ব্রাত্য-অর্পিতার সংঘাত?
ব্রাত্য বসুর সঙ্গে অর্পিতা ঘোষের ব্যক্তিত্বের সংঘাত কি মিটবে? মুখ্যমন্ত্রী দুজনকেই সতর্ক করার পর নাট্য মহলে এই প্রশ্নটাই এখন ঘোরাফেরা করছে।
কলকাতা: ব্রাত্য বসুর সঙ্গে অর্পিতা ঘোষের ব্যক্তিত্বের সংঘাত কি মিটবে? মুখ্যমন্ত্রী দুজনকেই সতর্ক করার পর নাট্য মহলে এই প্রশ্নটাই এখন ঘোরাফেরা করছে।
নাট্য স্বজনে ডামাডোলের জেরে বিনোদিনী রেপার্টরির ভবিষ্যত্ও প্রশ্নের মুখে। এরই মধ্যে বিনোদিনী রেপার্টরিতে চাঁদ বণিকের পালা মঞ্চস্থ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শাঁওলী মিত্র।
একজন রাজ্যের মন্ত্রী। অন্যজন শাসকদলের সাংসদ। ফলে, ব্রাত্য বসুর সঙ্গে অর্পিতা ঘোষের ব্যক্তিত্বের সংঘাত শুধুমাত্র ব্যক্তিগত পরিসরে বা নাটকের জগতেই সীমাবদ্ধ থাকছে না।
মুখে মুখে তৈরি হচ্ছে নানা জল্পনা। এই পরিস্থিতিতে ব্রাত্য-অর্পিতা দুজনকেই নবান্নে ডেকে পাঠিয়ে ঝগড়া মিটিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, ঝগড়া কি মিটবে?
নাটকপাড়ায় কান পাতলে শোনা যাচ্ছে দুরকম মত। কেউ বলছেন, মুখ্যমন্ত্রীর কথা অমান্য করার সাহস হবে না ব্রাত্য-অর্পিতার। আরেকদলের মত, ওপরে ওপরে হয়ত বন্ধুত্ব দেখানোর চেষ্টা হবে। কিন্তু, ক্ষতটা ভিতরে রয়েই যাবে।
নাট্য স্বজনের কুশীলবদের নিজেদের দ্বন্দ্বের মধ্যেই কলকাতা পুরসভার বিনোদিনী রেপার্টরির ভবিষ্যত্ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মোহিত মৈত্র মঞ্চে রেপার্টরি চালানোর ভার নাট্য স্বজনকে দিয়েছিল পুরসভা। এপ্রিলে শাঁওলী মিত্রর পরিচালনায় মঞ্চস্থ হওয়ার কথা ছিল চাঁদ বণিকের পালা। কিন্তু, শাঁওলী মিত্র জানিয়ে দিয়েছেন, নাটক মঞ্চস্থ করতে পারবেন না তিনি।
শাঁওলী জানিয়েছেন, পরিকাঠামোর অভাবেই বিনোদিনী রেপার্টরিতে নাটক করতে পারছেন না তিনি।
শাঁওলি একথা বললেও, নাট্যমহলের একাংশের মত অন্য।
একসময় পরিবর্তন চেয়ে পথে নামলেও পরিবর্তনের পর ইদানিং আর শাসকদলের ধারে-কাছে শাঁওলী মিত্রকে সে ভাবে দেখা যায় না। ফলে, চাঁদ বণিকের পালা থেকে শাঁওলীর সরে আসাটা যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেকে।