৩১ জুলাই ধর্মঘট স্থগিত রাখল সিটু

আগামী ৩১ জুলাইয়ের পরিবহণ ধর্মঘট স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিল সিটু। রবিবার সিটুর তরফে এক সাংবাদিক সম্মেলনে সিটু নেতা শ্যামল চক্রবর্তী জানান, বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর আবেদনে সাড়া দিয়েই তাঁরা ৩১ জুলাই ধর্মঘট করছেন না। তাঁর বক্তব্য, পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে ইতিমধ্যে রাজ্যব্যাপী বৃহত্তর আন্দোলনের নেমেছে বামফ্রন্ট। সেই আন্দোলনকে আরও জোরদার করতেই বামফ্রন্টের তরফে বিমান বসু সিটুকে অনুরোধ করে চিঠি লেখেন।

Updated By: Jul 29, 2012, 04:39 PM IST

আগামী ৩১ জুলাইয়ের পরিবহণ ধর্মঘট স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিল সিটু। রবিবার সিটুর তরফে এক সাংবাদিক সম্মেলনে সিটু নেতা শ্যামল চক্রবর্তী জানান, বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর আবেদনে সাড়া দিয়েই তাঁরা ৩১ জুলাই ধর্মঘট করছেন না। তাঁর বক্তব্য, পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে ইতিমধ্যে রাজ্যব্যাপী বৃহত্তর আন্দোলনের নেমেছে বামফ্রন্ট। সেই আন্দোলনকে আরও জোরদার করতেই বামফ্রন্টের তরফে বিমান বসু সিটুকে অনুরোধ করে চিঠি লেখেন। শ্যামল চক্রবর্তীর অভিযোগ, সরকার মালিপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করলেও শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেনি। মুখ্যমন্ত্রীকে বারবার চিঠি লিখলেও তিনি আলোচনা নিয়ে কোনও সাড়া দেননি। তবে সরকারের হুমকিতে তাঁরা আত্মসমর্পণ করে তাঁরা ধর্মঘট স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেননি বলেও এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন সিটু নেতৃত্ব।
সিটুর সিদ্ধান্তে এদিন সরাসরি কোন মন্তব্য করতে চাননি রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্র।
শনিবারই রাজ্য সরকারের ডাকে সাড়া দিয়ে আগামী ৩১ জুলাইয়ের ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে বাস মালিকদের সংগঠনগুলি। তখনও পর্যন্ত সিপিআইএমের শ্রমিক সংগঠন পরিবহণ ধর্মঘট পালনের বিষয়ে পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্তে অনড় ছিল। শেষপর্যন্ত, রবিবার বিকেলে ৩১ জুলাইয়ের ধর্মঘট স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সিটু নেতৃত্ব।
শনিবার বাস মালিকদের সংগঠনগুলির সঙ্গে পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্রর বৈঠকের পরই ধর্মঘট তুলে নেয় তারা। জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেট ও বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেট-সহ কয়েকটি মালিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন এই বৈঠকে। বৈঠকের পর মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক সাধন দাস জানান, সরকার তাঁদের দাবি খতিয়ে দেখার জন্য সময় চাওয়াতেই তাঁরা ধর্মঘটের পথ থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

.