ছত্রধর মাহাতোকে ২ দিনের NIA হেফাজতের নির্দেশ ব্যাঙ্কশাল আদালতের

ঝাড়গ্রামে ভোট মিটতেই ফের গ্রেফতার ছত্রধর।

Updated By: Mar 28, 2021, 08:03 PM IST
ছত্রধর মাহাতোকে ২ দিনের NIA হেফাজতের নির্দেশ ব্যাঙ্কশাল আদালতের

নিজস্ব প্রতিবেদন:  ঝাড়গ্রামে ভোটে মিটতেই ফের গ্রেফতার ছত্রধর মাহাতো। ধৃতকে ২ দিনের NIA হেফাজতের নির্দেশ দিল কলকাতার ব্যাঙ্কশাল আদালত। আগামী ৩০ মার্চ NIA-র বিশেষ আদালতের পেশ করা হবে ছত্রধরকে। আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, পরবতী শুনানির সময়ে যদি ধৃতের শরীরে  আঘাতের চিহ্ন মেলে, সেক্ষেত্রে তদন্তকারীরাই দায়ি থাকবেন।

একুশের বিধানসভা ভোটের দলের সংগঠনের বড়সড় রদবদল ঘটান তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেল থেকে ছাড়ার পাওয়ার পর মূলস্রোতের রাজনীতিতে যোগ দেন ছত্রধর মাহাতো। শাসকদলের  রাজ্য সম্পাদক হন তিনি। শনিবার, প্রথম দফায় ভোট ছিল ঝাড়গ্রামে। দীর্ঘদিন ১১ বছর লালগড়ে  আমলিয়া গ্রামে নিজের বুথে গিয়ে ভোট দেন ছত্রধর। এরপর এদিন ভোরে বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে NIA। কেন? জানা গিয়েছে,  ১৬, ১৮, ২২ মার্চ NIA-এর পক্ষ থেকে ছত্রধরকে হাজিরা দিতে বলা হয়। হাজিরা না দেওয়াতেই শেষপর্যন্ত গ্রেফতার হতে হল।

আরও পড়ুন: ভোট মরশুমে অন্য ছবি, BJP প্রার্থীর গেরুয়া গালে সবুজ রং মাখালেন TMC নেত্রী

গ্রেফতার করার পর লালগড় থেকে ছত্রধরকে কলকাতায় নিয়ে আসেন গোয়েন্দারা। ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করে ধৃতকে ১৪ দিনের জন্য় নিজেদের হেফাতের নেওয়ার আবেদন জানান NIA। আদালতে পাল্টা জামিনের আবেদন জানান ছত্রধরের আইনজীবী। তাঁর দাবি, প্রবীর মাহাতো খুনের মামলায় সম্প্রতি তিনবার পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু দাঁতে ব্যাথার কারণে হাজিরা দিতে পারেননি ছত্রধর। সেকথা তদন্তকারীদের জানানোও হয়েছিল। অভিযুক্তের আইনজীবী আরও বক্তব্য়, গ্রেফতারের সময়ে ছত্রধরের মা ও স্ত্রীকে গালিগালাজ, এমনকী মারধরও করেছেন NIA আধিকারিকরা। তিনি একটি রাজনৈতিক দলে হয়ে কাজ করছেন বলেই এত রাগ! এরপর চিকিৎসার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়ে আদালত জানায়,পরবতী শুনানির সময়ে যদি ধৃতের শরীরে  আঘাতের চিহ্ন মেলে, সেক্ষেত্রে তদন্তকারীরাই দায়ি থাকবেন।

আরও পড়ুন: WB assembly election 2021 : 'এবারও ক্লিন বোল্ড হবেন শাহ', ২০১৫ থেকে পরিসংখ্যান ধরে হিসেব দিলেন ডেরেক

প্রসঙ্গত, NIA গ্রেফতার করেছে নাকি BJP তুলে নিয়ে গিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ছাত্রধর মাহাতোর পরিবারের লোকেরা। স্ত্রী নিয়তির দাবি, তাঁদের গ্রেফতারি পরোয়ানা বা অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট দেখানো হয়নি। এমনকী, যাঁরা বাড়িতে এসেছিলেন, তাঁরা নিজেদের পরিচয়ও জানাননি।

.