ধৃত ধর্মঘট সমর্থকদের কোমরে দড়ি! তীব্র উত্তেজনা আলিপুর আদালতে
পুলিস মোট ৩০ জন ধর্মঘটীকে গ্রেফতার করে। তাঁদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়। আলিপুর আদালতে তাঁদের নিয়ে আসা হয়। প্রিজন ভ্যান থেকে নামানোর সময় তাঁদের কোমরে দড়ি পরিয়ে লকআপে ঢোকানোর চেষ্টা চলে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ধৃত বনধ সমর্থকদের কোমরে দড়ি। দড়ি পরিয়ে লক আপে ঢোকানোর চেষ্টা। ঘটনাকে ঘিরে আলিপুর আদালতে তীব্র উত্তেজনা। শেষমেশ প্রবল চাপের মুখে কোমরের দড়ি খুলতে বাধ্য পুলিস।
গড়ফা থানা ও আরও একটি থানার পুলিস মোট ৩০ জন ধর্মঘটীকে গ্রেফতার করে। তাঁদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়। আলিপুর আদালতে তাঁদের নিয়ে আসা হয়। প্রিজন ভ্যান থেকে নামানোর সময় তাঁদের কোমরে দড়ি পরিয়ে লকআপে ঢোকানোর চেষ্টা চলে। তা দেখা মাত্রই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন আলিপুর আদালতে জমা হওয়া সিপিএম কর্মী সমর্থকরা। তাঁদের সঙ্গে পুলিসের বচসা বাধে। পরিস্থিতি প্রায় হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছয়।
আরও পড়ুন: রাজ্যে বনধের চিহ্ন মাত্র নেই, কোনও শ্রমিক-কৃষক স্বার্থ নেই, রয়েছে রাজনীতি: দিলীপ
ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন আইনজীবীরাও। তাঁদের যুক্তি, “সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, মানবাধিকার লঙ্ঘন কেন? রাজনৈতিক নেতাদের কোমরে কোনওমতেই দড়ি পরানো যায় না।” প্রবল চাপের মুখে পড়ে শেষমেশ ধৃত সিপিএম কর্মী সমর্থকদের কোমরের দড়ি খুলে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: প্রথম দিনের বনধের চেহারা দেখে কৌশল বদলানোর ইঙ্গিত বিমানবাবুর
সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৩৬৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাঁদের মধ্যে ৩৪ জন মহিলা রয়েছেন। এই পরিসংখ্যান দুপুর ১২টার আগে পর্যন্ত। এরপর আরও ১২ জন বনধ সমর্থনকারীকে গ্রেফতার করে বাগুইআটি থানার পুলিশ। ভিআইপি রোডে অবরোধ করার সময় তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।