বিরোধী জোটের মুখ কে? মোদীর চেয়ে আমরা অভিজ্ঞ, জবাব চন্দ্রবাবুর

বিরোধী শিবিরের সকলেই মুখ হতে পারেন, বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

Updated By: Nov 19, 2018, 07:25 PM IST
বিরোধী জোটের মুখ কে? মোদীর চেয়ে আমরা অভিজ্ঞ, জবাব চন্দ্রবাবুর

নিজস্ব প্রতিবেদন: নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে জোট বাধার চেষ্টা করছেন বিরোধীরা। কিন্তু বিরোধী শিবিরের মুখ কে? সোমবার মমতা-চন্দ্রবাবুর বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠকে অবধারিতভাবেই আরও একবার উঠল এই প্রশ্ন। আর সেই প্রশ্ন কার্যত ডজ করে করে গেলেন দুই মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়ে দিলেন, বিরোধী শিবিরের সকলেরই দাবিদার হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে।           

বিরোধী জোটের প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার কে? চন্দ্রবাবুকে এহেন প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর রা কাটার আগেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বিরোধী শিবিরের সকলেই মুখ হতে পারেন। তবে নরেন্দ্র মোদীর তুলনায় বিরোধী জোটের নেতাদের যোগ্যতা যে বেশি, তা মনে করিয়ে দেন চন্দ্রবাবু। বলেন, ''নরেন্দ্র মোদীর তুলনায় আমরা সিনিয়র। সবার অভিজ্ঞতা রয়েছে। মোদীর চেয়ে ভাল পারফরম্যান্সও''। 

অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য বিশেষ অনুদানের দাবি করেছিলেন চন্দ্রবাবু নাইডু। কিন্তু অনুদান না মেলায় এনডিএ-র সঙ্গ ছাড়েন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। তারপর থেকে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন চন্দ্রবাবু। বিরোধী দলগুলিকে এক মঞ্চে আনার তোড়জোড় করছেন।ইতিমধ্যেই দিল্লিতে গিয়ে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে এসেছেন। বৈঠকের পর চন্দ্রবাবু নাইডু দাবি, গণতন্ত্র বাঁচাতেই বিরোধীদের জোট করতে হবে। চন্দ্রবাবুর সুরে রাহুল গান্ধীও জানিয়ে দেন, অতীত ভুলে এগোতে চান। দাক্ষিণাত্যে কর্ণাটকে গিয়ে এইচডি দেবগৌড়া ও তাঁর ছেলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর সঙ্গেও দেখা করেন চন্দ্রবাবু। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছাড়া বিরোধী জোট সম্ভব নয়, সেই জন্যে মমতার সঙ্গে বৈঠক করতে আসছেন চন্দ্রবাবু নাইডু। 

এদিন মমতার সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি বলেন,''দেশ বাঁচাতে হবে। গণতন্ত্র বাঁচাতে হবে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে বাঁচাতে হবে। সিবিআই, ইডি, আয়কর বিভাগ, আরবিআই বা ক্যাগ- প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই বিপদের মুখে। নোট বাতিল একটা বড় ভুল। মুদ্রাস্ফীতি ও পেট্রোল ডিজেলের দাম লাগামছাড়া। দেশজুড়ে বাড়ছে অসহিষ্ণুতা। সংখ্যালঘুরা আশঙ্কিত। এমনকি রাজনীতিকদের সিবিআই দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। আমাদের দেশ বাঁচাতে হবে। প্রথম থেকেই বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরের অধিবেশনের আগে আমাদের এক হতে হবে। আলোচনার মাধ্যমেই তা সম্ভব''। ১৯ জানুয়ারি তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশে হাজির থাকার আশ্বাসও দেন চন্দ্রবাবু। তাঁর কথায়, ''আমাকে আমন্ত্রণ করেছেন। জানুয়ারিতে ব্রিগেড সমাবেশে আসছি''। এর পাশাপাশি চন্দ্রবাবু স্পষ্ট করেন, সংসদের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনের আগে ডিসেম্বরেই বৈঠকে বসতে চলেছেন বিরোধী নেতানেত্রীরা। ওই বৈঠকেই ঠিক হবে আগামীর রূপরেখা''। 

আরও পড়ুন- এবার মুখ ফসকে নয় বিতর্ক নয়, মঞ্চে উঠে গাইলেন বিপ্লব দেব, দেখুন ভিডিও

.