WB SSC Scam: ফাঁকা ওএমআর শিট থেকে ০, এসএসসি সার্ভারে বদলে ৫৩! চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট সিবিআইয়ের, পদত্যাগের নির্দেশ আদালতের

WB SSC Scam: বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্য়ায় বলেন, 'সমস্ত বেআইনি প্রার্থীরা তাঁদের চাকরি হারাবেন। যদি তাঁরা নিজে থেকে পদত্যাগ করেন তো ভালো, আদালত তাহলে কোনও পদক্ষেপ করবে না। কিন্তু পদত্যাগ না করলে তাঁরা কেউ অন্য সরকারি চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন না। প্রত্যেকের পদত্যাগ করা উচিত।' 

Updated By: Sep 28, 2022, 03:38 PM IST
WB SSC Scam: ফাঁকা ওএমআর শিট থেকে ০, এসএসসি সার্ভারে বদলে ৫৩! চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট সিবিআইয়ের, পদত্যাগের নির্দেশ আদালতের

অর্ণবাংশু নিয়োগী: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চাঞ্চল্যকর তথ্য। আদালতে ফরেনসিক রিপোর্ট পেশ সিবিআইয়ের। আর সেখানেই উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। রিপোর্টে উল্লেখ, এসএসসি সার্ভারে প্রাপ্ত নম্বর বদল করা হয় অকৃতকার্য প্রার্থীদের। গ্রুপ সি-তে ৩,৪৮১ জনের নম্বর বদল করা হয়েছে। গ্রুপ ডি-তে ২,৮২৩ জনের নম্বর বদল করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কেউ হয়তো ১ বা কেউ হয়তো ০ পেয়েছিলেন। আদালতে সিবিআই জানিয়েছে, এসএসসি সার্ভার রুম থেকে ৩টি হার্ড ডিস্ক উদ্ধার হয়েছে। সেই হার্ড ডিস্ক থেকেই দেখা গিয়েছে, প্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর হয়তো ছিল ১ বা ০। হাইকোর্টে আজ মোট ৪টি রিপোর্ট পেশ করে সিবিআই। যথা- গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, এসএলএসটি একাদশ-দ্বাদশ এবং এসএসএসটি নবম-দশম শ্রেণির ক্ষেত্রে নিয়োগ সংক্রান্ত রিপোর্ট। প্রতিটি রিপোর্টেই বিস্ফোরক তথ্য! এতদিন পর্যন্ত যে নম্বর অদল-বদলের অভিযোগ করা হচ্ছিল, এবার তথ্যপ্রমাণ দিয়ে একেবারে রিপোর্ট দিল সিবিআই। 

রিপোর্টে উল্লেখ, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে এসএসসি সার্ভারে ৯০৭ জন প্রার্থীর নম্বর বদলানো হয়েছে। যারমধ্যে প্যানেলে নাম রয়েছে ৬৩১ জনের। ওদিকে নবম-দশম শ্রেণির ক্ষেত্রে ৯৫২ জনের নম্বর বদলানো হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে সমস্ত উত্তরপত্রের স্ক্যান করা কপি। যেখানে দেখা যাচ্ছে, প্রার্থী হয়তো আদতে ১ বা ০ পেয়েছেন। ফেল করেছেন! অথচ সার্ভারে ওই প্রার্থীর প্রাপ্ত নম্বর দেখা যাচ্ছে ৫০ বা ৭০। এমনকি ফাঁকা ওএমআর শিট পর্যন্ত জমা দেওয়া হয়েছে! প্রার্থী কিছুই লেখেননি! যেখানে পরে ৫৩ নম্বর বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে বড়সড় তথ্যপ্রমাণ সামনে এল সিবিআই রিপোর্টে। দুর্নীতির শিকড় যে কতটা গভীরে তারও প্রমাণ মিলল। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশাপাশি এই নিয়োগ দুর্নীতিতে যে শিক্ষা দফতরও জড়িয়ে, সিবিআই রিপোর্টে তার সুস্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এই রিপোর্ট সামনে আসার পরই বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্য়ায় বলেন, 'আমি শকড!' ওদিকে, সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, 'আমি স্পিচলেস!'

এরপরই প্রতারণার মাধ্য়মে চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের চরম হুঁশিয়ারি দেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্য়ায়। তিনি সাফ বলেন,'আমি এটা পরিষ্কার করে দিতে চাই যে, এই সমস্ত বেআইনি প্রার্থীরা তাঁদের চাকরি হারাবেন। যদি তাঁরা নিজে থেকে পদত্যাগ করেন তো ভালো, আদালত তাহলে কোনও পদক্ষেপ করবে না। কিন্তু যদি তাঁরা তা না করেন, তাহলে আদালত অন্যভাবে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে। এই সকল প্রার্থীরা পদত্যাগ না করলে, পরবর্তীতে তাঁরা যেন আর কোনও সরকারি চাকরির পরীক্ষায় না বসতে পারেন, আমি সেই নির্দেশ দেব। পদত্যাগ না করলে তাঁরা কেউ অন্য সরকারি চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন না।পদত্যাগ করলে বুঝব যে তাঁরা বুঝতে পেরেছেন, নিজেরা কী করেছেন! নাহলে কড়া পদক্ষেপ।' এপ্রসঙ্গে জনৈক সঞ্জয় মণ্ডলের নামোল্লেখ করেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্য়ায়। বলেন, 'একজন সঞ্জয় মন্ডল। জানি না কোথায় কাজ করছেন। তাঁর পদত্যাগ করা উচিত।' 

আরও পড়ুন, Duare Ration: খাদ্য সুরক্ষা আইনে বৈধতা নেই, হাইকোর্টে জোর ধাক্কা মমতার দুয়ারে রেশন প্রকল্প

পাশাপাশি, সিবিআই-কে কড়া নির্দেশও দেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। নির্দেশ দেন, 'যারা যারা শুন্য পেয়েছে, অথচ সার্ভারে পাস করেছে, তাদের নাম জানতে হবে সিবিআইকে।' যে পরিপ্রেক্ষিতে এসএসসি আদালতকে জানায়, 'সিবিআই যদি নামগুলো জানায়, তাহলে আমরা খতিয়ে দেখব, তাঁরা কোথাও কাজ করছেন কিনা!' পাশাপাশি, সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে ফের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্যও বলেন সিবিআইকে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায় বলেন, 'কার নির্দেশে সুবীরেশ ভট্টাচার্য এই কাজ করেছেন? আদালতের তা জানা জরুরি। কারণ, কোনও গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যমের নির্দেশ ছাড়া তিনি একাজ করতে পারেন না। আমি ওনাকে ভাল করে চিনি। জেন্টলম্যান।'

পড়ুন- বাঙালির প্রাণের উৎসবে আমার 'e' উৎসব। Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল শারদসংখ্যা

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.