Teacher Recruitment Scam: বিভিন্ন জেলাতে এজেন্ট, লাভের টাকা কোথায় কোথায় পাঠাতেন রঞ্জন? জেরা CBI-এর
গ্ৰুপ সি নিয়োগ দুর্নীতিতে অন্যতম মিডিল ম্যান রঞ্জন। কুন্তলের সঙ্গে তার যোগ রয়েছে। উপেন বিশ্বাস অনেক আগেই অভিযোগ করেছিল চন্দনের বিরুদ্ধে। চন্দনের একাউন্টে লক্ষ লক্ষ টাকা ট্রানজেকশন হয়েছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির সঙ্গে সরাসরি যোগ ছিল চন্দন মণ্ডল ওরফে রঞ্জনের। সরাসরি কমিটির তিন সদস্যের কাছে পৌঁছে যেত টাকা। কারা তারা? কত টাকা পৌঁছেছিল? চন্দনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এসব তথ্যই জানার চেষ্টা সিবিআইয়ের। জেলায় জেলায় জাল ছড়িয়েছিল চন্দন। চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করত চন্দনের এজেন্টরা। গ্রুপ সিতে চাকরির নামে একশোরও বেশি প্রার্থীর থেকে তোলা হয় টাকা বলে অভিযোগ। সিবিআই নজরে চন্দনের এজেন্টরাও।
আরও পড়ুন, পুরী ঘুরতে অনলাইনে হোটেল বুকিং! ভুয়ো ওয়েবসাইটের ফাঁদে ৯২ হাজার খোয়ালেন বিচারপতি
উপদেষ্টা কমিটির তিন সদস্যের সঙ্গে সরাসরি যোগের সূত্রেই নিয়োগ সংক্রান্ত সুপারিশ সরাসরি পৌছে যেত। কার মাধ্যমে এই যোগাযোগ তৈরি হয়েছিল, জানতে জেরা রঞ্জনকে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে গ্রুপ সি পদে প্রায় ১০০ এর বেশি চাকরি প্রার্থীর কাছে থেকে টাকা নিয়েছিলেন রঞ্জন। সেই টাকা কাদের দিলেন? রঞ্জন কতটা লাভবান হয়েছিলেন? জানতে চাইছে সিবিআই
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শুক্রবারই সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয় বাগদার ‘রঞ্জন’ ওরফে চন্দন মণ্ডল। গ্রেফতারির আগে তাকে নিজাম প্যালেসে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে শেষমেশ গ্রেফতার করা হয় তাকে। বাগদার এই রঞ্জনই উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া-সহ বিভিন্ন জেলার লোকজনের কাছ থেকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা নিয়েছিলেন। এবং তিনিই ছিলেন চাকরিপ্রার্থী ও প্রভাবশালীদের মধ্যে সেতু। এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন তিনি। এর আগে রঞ্জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেন সংক্রান্ত তথ্যও খতিয়ে দেখেছিল সিবিআই। জানা গিয়েছে, সেখানেও অসঙ্গতি মিলেছিল।
তদন্তকারী সংস্থার যাঁদের বয়ান নিয়েছেন, তাঁদের অনেকের মুখেও চন্দনের নাম শোনা গিয়েছে। তবে প্রথম এই নাম সামনে আনেন উপেন বিশ্বাস। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে ওই অভিযোগ সামনে এনেছিলেন। গ্ৰুপ সি নিয়োগ দুর্নীতিতে অন্যতম মিডিল ম্যান রঞ্জন। কুন্তলের সঙ্গে তার যোগ রয়েছে। উপেন বিশ্বাস অনেক আগেই অভিযোগ করেছিল চন্দনের বিরুদ্ধে। চন্দনের একাউন্টে লক্ষ লক্ষ টাকা ট্রানজেকশন হয়েছে। শুধু বাগদাতে নয় উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গা থেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রচুর টাকা তুলেছে বলে দাবি।
আরও পড়ুন, Governer CV Ananda Bose: নার্সিংহোমে বিপুল খরচ! দাঁতের চিকিৎসায় সরকারি হাসপাতালে রাজ্যপাল