Kaliaganj Firing: প্রাণ বাঁচতে কালিয়াগঞ্জে গুলি চালিয়েছিল পুলিস; তাতেই কি মৃত্যু মৃত্যুঞ্জয়ের, সিআইডি তদন্তের নির্দেশ
মোট দুই রাউন্ড গুলি চালানো হয়। একটি গুলির সন্ধান পাওয়া গেলেও অন্য গুলিটির সন্ধান পাওয়া যায়নি। এখন আজ পুলিসও স্বীকার করেছে আত্মরক্ষার্থে তারা গুলি চালিয়েছিল। কিন্তু সেই গুলিতেই মৃত্যুঞ্জরের মৃত্যু কিনা তা খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ময়নায় মৃত বিজেপি কর্মী বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার মৃত্যুতে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের আদেশ দিলেও কালিয়াগঞ্জে নিহত রাজবংশী যুবক মৃ্ত্যুঞ্জয় বর্মনের মৃত্যু সেই নির্দেশ দিল না কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি মৃত্যুঞ্জয়ের পরিবার যে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়েছিল তাও খারিজ করল আদালত। পাশাপাশি বলা হয়েছে ম্যাজিস্ট্রেটের তত্বাবধানে তদন্ত করবে সিআইডি। ১২ মে-র মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে। তবে রাজ্যে পুলিসের তদন্তে আশ্বাস নেই পরিবারের। তারা এখনও সিবিআই তদন্তে অনড়।
আরও পড়ুন-টেট অনুত্তীর্ণ ৩৬ জনকে প্রাথমিকে চাকরি, সিবিআই রিপোর্টে আরও বিপাকে মানিক
রাজ্য সরকারের তরফে আজ কলকাতা হাইকোর্টে জানায়, আত্মরক্ষায় গুলি চালিয়েছিল পুলিস। তবে সেই গুলিতেই মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যু কিনা তা তদন্ত সাপেক্ষ বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। গত ২৮ এপ্রিল এসপিকে একটি চিঠি দেয় মৃতের পরিবার। সেখানে লেখা হয় রাজ্য সরকারের পুলিসের উপরে ভরসা নেই তাদের। সেই চিঠির পর তদন্ত শুরু করে সিআইডি। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে বলা হয় সিআইডির হাত থেকে মামলা নিয়ে সিবিআইয়ের হাতে দেওয়া হোক। আদালতের তরফে আজ মন্তব্য করা হয়, পুলিসের উপরে ভরসা নেই জেনে তদন্তবার সিবিআইডিকে দেওয়া হয়। তার দুদিন পরেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কীভাবে দেওয়া যায়?
পরিবারের অভিযোগ ছিল পুলিসই গুলি চালিয়েছে। মোট দুই রাউন্ড গুলি চালানো হয়। একটি গুলির সন্ধান পাওয়া গেলেও অন্য গুলিটির সন্ধান পাওয়া যায়নি। এখন আজ পুলিসও স্বীকার করেছে আত্মরক্ষার্থে তারা গুলি চালিয়েছিল। কিন্তু সেই গুলিতেই মৃত্যুঞ্জরের মৃত্যু কিনা তা খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে। কেন পরিস্থিতিতে গুলি চালানো হয় তাও বিচার করে দেখাও প্রয়োজন রয়েছে বলে দাবি করেন রাজ্যের আইনজীবী। আগামী ১২ তারিখ সিবিআইডি একটি রিপোর্ট দেবে। সেখানে স্পষ্ট হতে পারে কার গুলিতে মৃত্যু হয়েছে মৃত্য়ুঞ্জয়ের। সিআইডির রিপোর্ট দেখার পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে দেওয়া হবে কিনা।
এক নাবালিকার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ। ক্ষুব্ধ জনতা হামসা চালায় কালিয়াগঞ্জ থানায়। আগুন দেওয়া হয় থানায়। সেই ঘটনার পরদিনই কালিয়াগঞ্জের রাধিকাপুরের বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য বিষ্ণু বর্মনের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিস। তাকে না পেয়ে তার জামাইকে হেফাজতে নিতে চায় পুলিস। তাতেই বাধা দেন মৃত্যুঞ্জয় বর্মন। তারপরই পুলিস গুলি চালায় পুলিস। এমনটাই অভিযোগ মৃত্যুঞ্জের পরিবারের।