সড়ক সম্প্রসারণের মাশুল, হকার উচ্ছেদ বাইপাসে
মাত্র দুদিনের নোটিসে রুবি হাসপাতাল থেকে পাটুলি পর্যন্ত হকার উচ্ছেদ অভিযান চালাল কেএমডিএ এবং পুলিস। ই এম বাইপাস সম্প্রসারণের জন্যই আজ এই অভিযান চালানো হয়। বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে এক হাজারেরও বেশি অস্থায়ী দোকান গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। গ্রেফতার করা হয় ৪১ জন হকারকে। তাঁদের পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
মাত্র দুদিনের নোটিসে রুবি হাসপাতাল থেকে পাটুলি পর্যন্ত হকার উচ্ছেদ অভিযান চালাল কেএমডিএ এবং পুলিস। ই এম বাইপাস সম্প্রসারণের জন্যই আজ এই অভিযান চালানো হয়। বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে এক হাজারেরও বেশি অস্থায়ী দোকান গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। গ্রেফতার করা হয় ৪১ জন হকারকে। তাঁদের পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
সম্প্রসারণের জন্য ই এম বাইপাস সংলগ্ন রুবি হাসপাতাল থেকে পাটুলি পর্যন্ত এলাকায় হকারদের সরে যেতে বৃহস্পতিবার প্রচার চালায় কেএমডিএ এবং পুলিস। এ খবর পাওয়ার পর মাথায় হাত পড়ে ব্যবসায়ীদের। ব্যবসায়ীদের একাংশ শুক্রবার হাজির হন মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে। হকারদের দাবি, সেখান থেকে তাঁদের যেতে বলা হয় তৃণমূল ভবনে। মুকুল রায়ের সঙ্গে কথা বলতে বলা হয় তাঁদের। তাতেও সুরাহা হয়নি। তাই এলাকার বিধায়ক মণীশ গুপ্তের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। হকারদের দাবি, বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী তখনই জানিয়ে দেন, তাঁর পক্ষে এ ব্যাপারে কিছুই করা সম্ভব নয়। এরপরই শনিবার সকাল থেকে শুরু হয়ে যায় হকার উচ্ছেদ অভিযান। পুলিসের সাহায্যে কয়েক হাজার দোকান একের পর এক গুঁড়িয়ে দিতে শুরু করেন কেএমডিএ-র কর্মীরা।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, নতুন করে যেমন কোনও হকারকে বসতে দেওয়া হবে না, তেমনই পুরনো কোনও হকারকে উচ্ছেদ করা হবে না। মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরেও, কেন উচ্ছেদ অভিযান, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হকাররা।
উচ্ছেদের সময় পাটুলি উপনগরী হকার সংগ্রাম কমিটি এলাকায় বিক্ষোভ দেখায়। এই অভিযানের জেরে কর্মহীন হয়ে পড়লেন কয়েক হাজার হকার।