Buddhadeb Bhattacharya Hospitalised: অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়া কেমন থাকেন দেখতে চান চিকিত্সকেরা; কবে ছুটি, মিলল ইঙ্গিত
Buddhadeb Bhattacharya Hospitalised: গত শনিবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা ও ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। দেহে অক্সিজেন স্যাচুরেশন নেমে গিয়েছিল। কমে গিয়েছিল রক্তচাপও। তার পরেই আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বুদ্ধবাবুকে
মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে এখনই ছুটি দিতে চাইছেন না চিকিত্সকেরা। আরও অন্তত দুদিন তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। মেডিক্যাল বোর্ডের আলোচনায় এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে খবর। তাই সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে মঙ্গল কিংবা বুধবার ছুটি পেতে পারেন বুদ্ধবাবু। রবিবার দুপুরে তাঁর আইভি অ্যান্টিবায়োটিক বন্ধ করা হয়েছে। অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়া তিনি কেমন থাকছেন সেই বিষয়টিই পর্যবেক্ষণে রাখতে চাইছেন চিকিত্সকেরা।
আরও পড়ুন-গ্রেফতার প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, ৩ বছরের জেল...
হাসপাতাল সূত্রে খবর, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সংক্রমণ আপাতত নেই। এবার অ্যান্টিবায়োটিক বন্ধ করলে সংক্রমণ ফিরে আসছে কিনা তা পর্যালোচনা করে দেখতে চান চিকিত্সকেরা। এখন বুদ্ধবাবুর রাইলস টিউব খোলা হয়নি। তার পরেও তাঁকে ওরাল ফিডিং শুরু করা হয়েছে। চেষ্টা করা হচ্ছে তরল ও নরম খাবার যাতে তাঁকে খাওয়ানো যায়। সেটাও চিকিত্সকেরা দেখতে চান। এখনও ফিজিওথেরাপি চলছে তাঁর। এক্ষেত্রে বাড়িতে গেলেও হাসপাতালের হোম কেয়ারে থাকার একটা সম্ভাবনা রয়েছে তাঁর।
আজ হাসপাতালে বুদ্ধবাবুকে দেখতে যান মহম্মদ সেলিম ও সূর্যকান্ত মিশ্র। জানা যাচ্ছে তাঁদের সঙ্গে কথাও বলেছেন বুদ্ধবাবু। কথা বলার সময় বেডে উঠে বসেছিলেন বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। এনিয়ে মহম্মদ সেলিম বলেন, অনেকটাই ভালো রয়েছেন উনি। যে অবস্থায় বুদ্ধদা ভর্তি হয়েছিলেন তার থেকে অনেক অনেক ভালো। কিন্তু আরও ২ দিন চিকিত্সকেরা তাঁকে দেখবেন। যেসব ওষুধ দেওয়া হচ্ছিল তার কোর্স শেষ হয়েছে। নানা রকমের যেসব সাপোর্ট ছিল তা খুলে নিয়ে চিকিত্সকেরা দেখছেন। যে রোগে আক্রান্ত হয়ে উনি এখানে এসেছিলেন তা থেকে অনেকটাই মুক্ত। চিকিত্সকেরা আরও দুদিন দেখে তারপর বলবেন।
হাসপাতালের তরফে এক মেডিক্যাল বুলেটিনে বলা হয়েছে, নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেটরি সাপোর্টে আছেন বুদ্ধবাবু। সমস্ত প্যারামিটার ভালো আছে। আজ অ্যান্টিবায়োটিক্স বন্ধ করা হয়েছে। ওনার রাইলস টিউব আছে এখনও। নরম খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। কিন্তু এখনও রাইলস টিউব খোলা যায়নি। এখনও ওঁর খাবারের বিশেষ ইচ্ছা নেই। তাই নিউট্রিশন নিশ্চিত করার জন্য রাইলস টিউবের উপরই ভরসা করতে হচ্ছে। সোমবার আর একটা মেডিক্যাল বোর্ড হবে, সেদিন ছুটির ব্যপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। ভিজিটরস আরও বেশি রেস্ট্রিক্ট করা হচ্ছে। হাসপাতাল থেকে সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় সেটা নিশ্চিত করতে। হাসপাতাল থেকে ছুটি হলেও হাসপাতালের তরফে হোম কেয়ার টিম যাবে ওঁর পরিচর্যা নিশ্চিত করতে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা ও ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। দেহে অক্সিজেন স্যাচুরেশন নেমে গিয়েছিল। কমে গিয়েছিল রক্তচাপও। তার পরেই আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বুদ্ধবাবুকে। ভর্তির পরই রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কিছুটা বাড়লেও তা ফের নেমে যেতে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ভেন্টিলেশনে দিতে হয়। তার পর থেকে কয়েকদিন কখনও ভেন্টিলেশন সাপোর্ট, কখনও বাইপ্যাপ সাপোর্টে ছিলেন তিনি। রবিবার তাঁর আইভি অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্স শেষ হয়ছে। এরপর তিনি কতটা স্বাভাবিক থাকেন তা দেখেই তাঁকে ছুটি দিতে চান চিকিত্সকেরা।