ডাক্তারের অমানবিকতার সাক্ষী রইল আর জি কর, বিনা চিকিৎসায় প্রাণ হারাল ১৭ বছরের কিশোর

চিকিত্সায় গাফিলতির সাক্ষী রইল আর জি কর হাসপাতাল। চিকিত্সা তো হলই না, উল্টে দেরি হওয়ায় মৃত্যু হল সতেরো বছরের এক কিশোরের। কয়েক দিন ধরে জ্বরে ভুগতে থাকা দমদম বেদিয়াপাড়ার সুদীপ রাহাকে শুক্রবার নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আর জি কর হাসপাতালে। কর্তব্যরত মহিলা চিকিত্সক তাঁকে এবং তাঁর আত্মীয়স্বজনকে ধাক্কা মারেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় তাঁদের ক্ষোভবিক্ষোভের জেরে শনিবার রাতের দিকে যখন চিকিত্সা শুরু হল, তখন ডাক্তাররা জানিয়ে দিলেন, বড় দেরি হয়ে গিয়েছে।

Updated By: Aug 16, 2014, 09:05 AM IST
ডাক্তারের অমানবিকতার সাক্ষী রইল আর জি কর, বিনা চিকিৎসায় প্রাণ হারাল ১৭ বছরের কিশোর

কলকাতা: চিকিত্সায় গাফিলতির সাক্ষী রইল আর জি কর হাসপাতাল। চিকিত্সা তো হলই না, উল্টে দেরি হওয়ায় মৃত্যু হল সতেরো বছরের এক কিশোরের। কয়েক দিন ধরে জ্বরে ভুগতে থাকা দমদম বেদিয়াপাড়ার সুদীপ রাহাকে শুক্রবার নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আর জি কর হাসপাতালে। কর্তব্যরত মহিলা চিকিত্সক তাঁকে এবং তাঁর আত্মীয়স্বজনকে ধাক্কা মারেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় তাঁদের ক্ষোভবিক্ষোভের জেরে শনিবার রাতের দিকে যখন চিকিত্সা শুরু হল, তখন ডাক্তাররা জানিয়ে দিলেন, বড় দেরি হয়ে গিয়েছে।

সপ্তাহখানেক ধরেই জ্বরে ভুগছিল দমদম বেদিয়াপাড়ার বাসিন্দা সতেরো বছরের সুদীপ রাহা। জ্বর না কমায় তাকে আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় ভর্তি করা হলেও সুদীপের আত্মীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘক্ষণ তাকে বিনা চিকিত্সায় ফেলে রাখা হয়।

সুদীপের বাবা প্রদীপ রাহার অভিযোগ, এরপরই  কর্তব্যরত মহিলা চিকিত্সক সুদীপকে ধাক্কা মারেন।

এই ঘটনার পর হাসপাতালে কর্তব্যরত অন্য চিকিত্সকদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন সুদীপের বাড়ির লোকজন। এই সুযোগে অভিযুক্ত মহিলা চিকিত্সককে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বলে তাদের অভিযোগ। উত্তেজনা থামাতে কিছুক্ষণের মধ্যেই সুদীপের চিকিত্সা শুরু হয়। কিন্তু খানিকক্ষণের মধ্যেই মারা যায় সুদীপ। তার মৃত্যুর খবর পেয়েই বাড়ির লোকজন হাসপাতাল চত্বরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য এ বিষয়ে মুখ খুলতে চায়নি। অভিযুক্ত মহিলা চিকিত্সকের নাম-পরিচয়ও জানাতে চাননি তাঁরা।

.