কালীঘাটে টাকা রেখে বিদ্যুতের মাসুল বাড়াচ্ছে CESC, বিএমএসের সভায় বিস্ফোরক অর্জুন
বিএমএসের সভায় তৃণমূল-সিইএসসি যোগের অভিযোগ করেন বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং।
অঞ্জন রায়: বিজেপির পর এবার সিইএসসি অফিসের সামনে বর্ধিত বিদ্যুত্ মাসুল, কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাল সঙ্ঘের শ্রমিক সংগঠন বিএমএস। তাদের অভিযোগ, নানা ভাবে ভয় দেখিয়ে কর্মীদের ছাঁটাই করছে সংস্থা। বিএমএসের মঞ্চে এদিন উপস্থিত ছিলেন বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন। তিনি দাবি করেন, নোট বাতিলের সময় সিইএসএসি-র মালিকের মাধ্যমে টাকা এদিক-ওদিক করেছে তৃণমূল।
বিজেপির পর এবার সিইএসসি-র বিরুদ্ধে রাস্তায় নামল আরএসএসের শ্রমিক সংগঠন ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘ। শনিবার কলকাতায় সিইএসসি অফিসের সামনে প্রতিবাদ সভায় বিদ্যুতের মাসুল ও কর্মী ছাঁটাইয়ের মতো ইস্যুতে সরব হন বিএমএস নেতারা। তাঁদের দাবি, কালো চুক্তি বাতিল, বিদ্যুতের মাসুল হ্রাস ও বোনাস দিতে হবে। কর্মীদের ভয় দেখিয়ে ছাঁটাই করা হচ্ছে বলেও কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে বিএমএস।
বিএমএসের সভায় তৃণমূল-সিইএসসি আঁতাঁতের অভিযোগ করেন বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। তাঁর দাবি, বিমুদ্রাকরণের পর সিইএসসি-র মালিককে দিয়ে টাকা এদিক-ওদিক করেছে তৃণমূল। কালীঘাটে টাকা রেখে বিদ্যুতের মাসুল বাড়িয়ে যাচ্ছে সিইএসসি। অর্জুন বলেন,''আইপিএস ও আএএস অফিসারদের জন্য নতুন বিল আসছে সংসদে। রাজ্যের ক্যাডার আর রাখা হবে না সংশ্লিষ্ট রাজ্যে।''
সিইএসসি-র বিদ্যুতের চড়া মাসুলের অভিযোগে লোকসভা ভোটের আগে সরব হয়েছিল বিজেপি। সপ্তম দফার আগে মুকুল রায় সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করেছিলেন, গোটা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুতের মাসুল কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায়। শাসক দলের বিরুদ্ধে ১৩ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপি নেতা। মুকুল অভিযোগ করেন, ২০১১ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বিদ্যুত বিলের জন্য অতিরিক্ত ১৩,০০০ কোটি টাকা দিয়েছেন গ্রাহকরা। সংস্থার মালিকের সঙ্গে যোগসাজশ থাকতে পারে শাসক দলের।
আরও পড়ুন- ইডেনে শতরান করে মুঠো মুঠো রেকর্ড করলেন কিং কোহলি, দেখে নিন একনজরে