পরীক্ষার ফল খারাপে অবসাদ, রানিকুঠির পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী ছাত্রী
জানা গিয়েছে, ছাত্রীর নাম সুমেধা বসু (১৭)। জিডি বিড়লা স্কুলে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ফের স্কুল ছাত্রীর রহস্য মৃত্যু নিয়ে চাঞ্চল্য। এবার ঘটনাস্থল টালিগঞ্জের রাণিকুঠি। শুক্রবার রাতে ওই এলাকার রানিদিঘি পুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছে ছাত্রীর দেহ। জানা গিয়েছে, ছাত্রীর নাম সুমেধা বসু (১৭)। জিডি বিড়লা স্কুলে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।
এদিন সন্ধে নাগাদ টিউশন পড়তে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকার কেএম নস্কর রোডের বাসিন্দা সুমেধা বসু। দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেনি সে। এরপরই শুরু হয় খোঁজ। রাত আটটা নাগাদ রানিদিঘিতে ওই ছাত্রীকে ঝাঁপ দিতে দেখেন স্থানীয়রা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়েই ওই পুকুরে নিজেই ঝাঁপ দেয় ওই ছাত্রী। তখনই লোকজন জড়ো করেন তাঁরা। খবর পৌঁছয় পুলিসের কাছে। এরপর ডুবুরি নামিয়ে উদ্ধার করে নাবালিকার দেহ। ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে দেহটি।
আরও পড়ুন: ভূগোল পাল্টালেও ইতিহাস পাল্টায়নি, শীত পড়তেই গরম কাপড় নিয়ে হাজির কাশ্মীরি শালওয়ালারা
পুলিশ সূত্রে খবর, পুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছে ছাত্রীর ব্যাগ এবং মোবাইলফোন। সম্ভবত, ব্যাগ থেকে পাওয়া গিয়েছে একটি স্যুইসাইট নোটও। তাতে লেখা, "আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ি নয়।" পাশাপাশি, ওই স্যুইসাইট নোটেই উল্লেখ রয়েছে অবসাদের কথাও। পড়াশোনায় অবনতি হচ্ছিল সুমেধার, পরীক্ষার ফল খারাপ হওয়ার কারণেই অবসাদে ভুগছিল সে। অন্যদিকে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ডেলিং-এর ইচ্ছা ছিল ওই স্কুল ছাত্রীর। মুম্বই যাওয়ারও স্বপ্ন ছিল তাঁর। আর এই নিয়ে বাড়িতে বেশ কয়েকবার বকাঝকাও করা হয়েছে তাকে। তবে এই মৃত্যুর পেছনে ঠিক কারণ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই।