BJP: বিলাসি রিসর্টে বাংলা বিজেপির চিন্তন শিবির, বৈভব নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
২০১৭-র পর ২০২২। ফের চিন্তন শিবিরের আয়োজন করল বঙ্গ বিজেপি। ৩ দিনের এই প্রশিক্ষণ থাকবেন সাড়ে তিনশোজন প্রতিনিধি।
মৌমিতা চক্রবর্তী: সময় লাগল ৫ বছর। অবশেষে দাবিপূরণ! চলতি মাসেই কলকাতায় ফের বিজেপির চিন্তন শিবির। কোথায়? নিউটাউনের একটি বিলাসবহুল রিসর্টে। থাকবেন সাড়ে তিনশোজন প্রতিনিধি। ৩ দিনের এই চিন্তন শিবিরে যোগ দেবেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও।
২০১৯-এর লোকসভা ভোটে এ রাজ্যে চমকপ্রদক উত্থান ঘটে বিজেপির। সেবার দলের তৎকালীন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ সাংসদ নির্বাচিত হন ১৮ জন। এরপর একুশের বিধানসভা ভোটের মুখে ভাঙন ধরে তৃণমূলে। যাঁরা দল ছাড়েন, তাঁরা প্রায় সকলেই যোগ দেন গেরুয়াশিবিরে। ভোটের ফল প্রকাশের অনেকেই আবার পুরানো দলে ফিরে গিয়েছেন। কিন্তু বিজেপি রয়ে গিয়েছে, এমন নেতা-কর্মীর সংখ্যা তো কম নয়।
ব্যবধান বছর পাঁচেকের। ২০১৭ সালে হলদিয়ার চিন্তন শিবিরের আয়োজন করেছিল বঙ্গ বিজেপি। দীর্ঘদিন ধরেই ফের তেমনই চিন্তন শিবির আয়োজনের দাবি উঠেছিল দলের অন্দরে। কেন? নতুন যাঁরা দলে এসেছেন, তাঁরা জানেন না, বিজেপি দলটা কেমন? আরএসএসের কাজ কী? দল কীভাবে পরিচালিত হয়? দলের থাকতে গেলে কী করা উচিত? সূত্রের খবর তেমনই। অবশেষে সেই দাবি পূরণহল। আগামি ২৯ থেকে ৩১ অগস্ট পর্যন্ত নিউটাউনের একটি বিলাসবহুল রিসর্টে অনুষ্ঠিত হবে বিজেপির চিন্তন শিবির। রাজ্য বিজেপির তরফে প্রধান বক্তা হিসেবে থাকবেন সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও শমীক ভট্টাচার্য। দিল্লি থেকে আসছেন বিএল সন্তোষ , সম্বিত পাত্র-সহ বেশ কয়েকজন নেতা।
আরও পড়ুন: Primary TET: 'এবার থেকে প্রতিবছর টেট হবে', ঘোষণা নয়া পর্ষদ সভাপতির
সূত্রের খবর, যাঁরা এই শিবিরে যাঁরা অংশ নেবেন, তাঁদের ২৯ অগস্ট বেলা ১১টার মধ্য়ে পৌঁছে যেতে হবে রিসর্টে। গাড়ি ও নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে ভিতরে ঢোকা যাবে না। শিবির চলাকালীন ওই রিসর্টেই থাকতে হবে সকলকে। ৩১ অগস্ট বিজেপি নেতাকর্মীদের ফিরিয়ে নিয়ে যেতে আসবে। আর বেশি দেরি নেই। নভেম্বরেই বিজেপি সাংগঠনিক নির্বাচন। তার আগে এই প্রশিক্ষণ শিবিরে আয়োজন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
সিবিআই নিয়ে কেন বিরূপ মন্তব্য? গতকাল, মঙ্গলবারই দিলীপ ঘোষকে ফোনে সতর্ক করে দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাজ্জা। সূত্রের খবর, দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিকে বলা হয়েছে, 'সংবাদমাধ্যমের ইস্যু হবেন না। দলের অন্দরের কথা দলের অন্দরেই বলতে হবে। তাঁর অস্বস্তি বা অসন্তোষের কথা যেন দলের ভিতরেই থাকে'। দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, 'বিধানসভা ভোটের পর ৬০ জন কর্মীকে খুন করা হয়েছে। সিবিআইকে দায়িত্ব দিয়েছিল কোর্ট। ক'জনকে সাজা দিয়েছে? এফআইআর-ই করতে পারেনি। আমরা ন্যায় বিচার পাইনি'।