জাতীয় পতাকা হাতে মিছিল করলে গ্রেফতার করছে পুলিস, এটা কি পাকিস্তান? প্রশ্ন সায়ন্তন বসুর
তিনি আরও বলেন, “কাশ্মীর নিয়ে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য সব সংবাদমাধ্যমে আসা উচিত।”
নিজস্ব প্রতিবেদন: কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে বিল পাস করল কেন্দ্র। আর সেই আনন্দে গোটা দেশে জাতীয় পতাকা হাতে আনন্দ মিছিল করলেন দেশবাসীরা। অথচ আমাদের রাজ্যে আনন্দ মিছিল করার অপরাধে গ্রেফতার করল পুলিস। এটা কি পাকিস্তান? এবার রাজ্য সরকার তথা পুলিস প্রশাসনের কড়া সমালোচনা করলেন বিজেপিনেতা সায়ন্তন বসু।
উল্লেখ্য, লোকসভায় সোমবার বিল পাস করে জম্মু কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ করেছে কেন্দ্র। এর ফলে লাদাখ ও জম্মু কাশ্মীর দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে গণ্য হবে। স্বাধীনতার পর কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে ঐতিহাসিক ও নজিরবিহীন পদক্ষেপ করেছে মোদী সরকার। সেই আনন্দে গোটা দেশেই জাতীয় পতাকা হাতে অনেকেই আনন্দ মিছিল বার করেন।
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তেও জাতীয় পতাকা হাতে মিছিল করেন অনেকে। কিন্তু সোমবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই মিছিল করার অপরাধে অনেককে গ্রেফতার করা হয়।
সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে কাটমানি পোস্টার লিখে গ্রেফতার সাব ইন্সপেক্টর
এরই প্রতিবাদে সোচ্চার হন বিজেপি নেতৃত্ব। সকালেই ট্যুইট করে মমতা সরকার ও পুলিস প্রশাসনের তীব্র সমালোচনা করেছেন বাবুল সুপ্রিয়।
ফোনে বিজেপিনেতা সায়ন্তন বসু বলেন, “কাল সংসদে বিল পাস হল, আনন্দে সারাদেশে বহু মানুষ জাতীয় পতাকা নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন। একমাত্র এই রাজ্য পুলিস গ্রেফতার করেছে তাঁদের। এটা ভাবা যায় না। এটা পাকিস্তান হলে মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু এই দেশের সংসদে বিল পাশের পর এই রাজ্যে আনন্দ করতে পারবে না? এই অন্যায় মেনে নেওয়া যায় না।” এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, “কাশ্মীর নিয়ে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য সব সংবাদমাধ্যমে আসা উচিত।”
অন্যদিকে, মেদিনীপুরে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ওপর পুলিসের লাঠিচার্জের ঘটনায় হাইকোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। সায়ন্তন বসুর বক্তব্য, “যেভাবে পুলিস মেরেছে, তা ব্রিটিশ শাসনের অত্যাচারকে মনে করিয়ে দেয়।”