বর্ধমান বিস্ফোরণকাণ্ডে সরাসরি তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ বিজেপির
বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডে এবার সরাসরি তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগল বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা সিদ্ধার্থ নাথ সিংয়ের অভিযোগ, খাগড়াগড়ে যে বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে সেটি এক স্থানীয় তৃণমূল নেতার। ওই বাড়িতে জেহাদি এবং বাংলাদেশি জঙ্গিদের নিয়মিত আনাগোনা ছিল বলে অভিযোগ তাঁর। সরকারের নির্দেশে বর্ধমানের পুলিস সুপার তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন সিদ্ধার্থনাথ সিং।
বিজেপির এই বক্তব্যকে ষড়যন্ত্র বলে উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। তাঁদের দাবি ,আজ সকাল পাঁচটা থেকে এই অপপ্রচার শুরু করেছে বিজেপি।
সরকারকে হেয় করার জন্য দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করছে সিপিআইএম ও বিজেপি। রাজ্যে অশান্তি ছড়ানোর চক্রান্ত চলছে। বর্ধমান বিস্ফোরণকাণ্ডে পাল্টা তোপ তৃণমূল নেতা মুকুল রায়ের।
এদিকে, স্কুল জীবন থেকেই বোমা তৈরিতে হাতেখড়ি। তদন্তকারীদের জেরায় স্বীকার করলেন বর্ধমান বিস্ফোরণ কাণ্ডে ধৃত দুই মহিলা। তবে বিস্ফোরণে হতাহতের পরিচয় নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা কাটেনি। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, রাজেরা বিবি ওরফে রুমি এবং তাঁর স্বামী শাকিল গাজির বাড়ি নদিয়ার করিমপুরের বারবাগপুরে। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শাকিল গাজির। আমিনা বিবির বাড়ি মুর্শিদাবাদের উকুডিহা গ্রামে। তাঁর স্বামী আবুল হাকিম বীরভূমের দেউচার বাসিন্দা। বিস্ফোরণে জখম আবুল এখন হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। বিস্ফোরণের পর হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল ওই ভাড়া বাড়ির পঞ্চম সদস্য সুভান মণ্ডল ওরফে স্বপন। তাঁর বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের উত্তরপাড়ায়। হাসপাতাল সূত্রে খবর বিস্ফোরণে জখম হওয়ার পর চিকিত্সা নিতে অস্বীকার করেছিলেন সুভান।
বর্ধমান বিস্ফোরণ কাণ্ডে গুরুতর জখম আবুল হাকিম। বছর খানেক আগে বাড়ি থেকে পালিয়েছিলেন তিনি। তারপর একবার ঘরে ফেরানো হলেও, আর বাড়িতে থাকেননি হাকিম। বিস্ফোরণ কাণ্ডে তাঁর নাম জড়িয়ে যাওয়ায় অবাক হাকিমের বীরভূমের দেউচার বাড়ির আত্মীয়রা।