হাওয়া বদলে প্রভাব কৃষিতে, রাজ্যে আসছে কৃষি বান্ধব
বদলে যাচ্ছে আবহাওয়া। তার প্রভাব পড়ছে কৃষি উত্পাদনে। খাদ্য নিরাপত্তা অটুট রাখতে রাজ্যে তাই ওয়েদার ফ্রেন্ডলি বা আবহাওয়া-বান্ধব কৃষির সূচনা করা হয়েছে। চলতি কৃষি মরশুমেই শুরু হয়েছে বিজ্ঞানসম্মত এই চাষ। আধুনিক বীজের ব্যবহার এবং চাষের পদ্ধতি বদলে উত্পাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু।
কলকাতা: বদলে যাচ্ছে আবহাওয়া। তার প্রভাব পড়ছে কৃষি উত্পাদনে। খাদ্য নিরাপত্তা অটুট রাখতে রাজ্যে তাই ওয়েদার ফ্রেন্ডলি বা আবহাওয়া-বান্ধব কৃষির সূচনা করা হয়েছে। চলতি কৃষি মরশুমেই শুরু হয়েছে বিজ্ঞানসম্মত এই চাষ। আধুনিক বীজের ব্যবহার এবং চাষের পদ্ধতি বদলে উত্পাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু।
গোটা দেশেই আবহাওয়ার বদল হচ্ছে। পিছিয়ে যাচ্ছে বর্ষা। কমছে বৃষ্টির পরিমাণ। এর ফলে গত দু বছরে রাজ্যে কৃষির উত্পাদনে ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়েছে। উত্পাদন বাড়াতেই চলতি বছরেই রাজ্য সরকার নতুন কৃষি পদ্ধতি চালু করেছে। আবহাওয়া-বান্ধব এই কৃষি পদ্ধতিতে আধুনিক মানের বীজ ব্যবহার করা হয়েছে। চাষের পদ্ধতিও বদল করা হয়েছে।
এমন বীজ ব্যবহার করা হচ্ছে যা কম জলেও বেড়ে উঠতে পারে। এই বীজ থেকে কম উচ্চতার ধান গাছ জন্মাচ্ছে। ফলে জলের তলায় ডুবে থাকলেও ধান পচে নষ্ট হবে না। মালভূমি বা পাথুরে জমিতে চাষ করা যাবে এমন ধানের বীজ আনা হয়েছে। জমিতে জল দেওয়ার জন্য নতুন মেশিন আনা হয়েছে। এতে কম জল ব্যবহার করে চাষ করা সম্ভব। বীজ পোঁতা এবং ধান কাটার জন্য বিজ্ঞানসম্মত মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে।
নব্বই দিনের আগে ধান উত্পাদন হবে এমন ধানের বীজ ব্যবহার করা হচ্ছে। নতুন ধরনের চাষে কৃষকদের সাহায্য করতে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে কৃষি সহায়ক নিয়োগ করা হয়েছে। এই বিশেষজ্ঞরা প্রত্যেক ব্লকে কৃষকদের কাছে যাচ্ছেন। সেখানকার জমির মান বিচার করে কী ধরনের বীজ, কীটনাশক, সার ব্যবহার করলে ফসল ভালো হবে সে ব্যাপারে পরামর্শ দিচ্ছেন। কৃষিমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু জানিয়েছেন, বিজ্ঞানসম্মত নতুন এই পদ্ধতি ব্যবহারে দু বছরের মধ্যে রাজ্যে কৃষি উত্পাদন অনেকটাই বাড়ানো সম্ভব।