স্বাস্থ্যর অস্বাস্থ্য দপ্তর

খোদ  মুখ্যমন্ত্রীর হাতে থাকা স্বাস্থ্য দপ্তরই  অস্বাস্থ্যের শিকার। বেড়েছে শিশুমৃত্যুর হার। সরকারি ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিতে কমেছে রক্ত সংগ্রহের পরিমাণ। গ্রামীণ এলাকায় সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবায়  ভরসা হারাচ্ছেন মানুষ।  রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের সর্বশেষ বার্ষিক রিপোর্টেই উঠে এসেছে এই বেহাল ছবি। কখনও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। কখনও বা নিও নেটাল কেয়ার ইউনিট। রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবায় গালভরা এমন সব সংযোজন নিয়ে ঢাকঢোল পেটানো চলছেই। অথচ  আজ মালদা তো কাল কলকাতার বিধান রায় শিশু হাসপাতাল, শিশুমৃত্যুর মিছিল চলছেই।

Updated By: Jul 18, 2014, 10:08 PM IST
স্বাস্থ্যর অস্বাস্থ্য দপ্তর

কলকাতা: খোদ  মুখ্যমন্ত্রীর হাতে থাকা স্বাস্থ্য দপ্তরই  অস্বাস্থ্যের শিকার। বেড়েছে শিশুমৃত্যুর হার। সরকারি ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিতে কমেছে রক্ত সংগ্রহের পরিমাণ। গ্রামীণ এলাকায় সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবায়  ভরসা হারাচ্ছেন মানুষ।  রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের সর্বশেষ বার্ষিক রিপোর্টেই উঠে এসেছে এই বেহাল ছবি। কখনও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। কখনও বা নিও নেটাল কেয়ার ইউনিট। রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবায় গালভরা এমন সব সংযোজন নিয়ে ঢাকঢোল পেটানো চলছেই। অথচ  আজ মালদা তো কাল কলকাতার বিধান রায় শিশু হাসপাতাল, শিশুমৃত্যুর মিছিল চলছেই।

২০১০ সালে রাজ্যে শিশুমৃত্যুর হার ছিল ৩১। ২০১১য় তা বেড়ে হয় ৩২। ২০১২ সালেও সেই একই অবস্থানে দাঁড়িয়ে রাজ্য। অথচ কেরালা, তামিলনাড়ু, পাঞ্জাব সর্বত্র কমছে শিশুমৃত্যুর হার। সারা বিশ্বেও এখন শিশুমৃত্যু কমছে। তাহলে পশ্চিমবঙ্গে। বিপরীত প্রবণতা কেন? স্বাস্থ্য দপ্তরের রিপোর্টই বলছে, গর্ভবতীদের আয়রন ট্যাবলেট সরবরাহ কমেছে। ফলে বাড়ছে অপুষ্টি। শিশুদের প্রতিষেধক জোগানোর হারও কমছে।

২০১০-১১ সালে গর্ভবতীদের আয়রন ট্যাবলেট সরবরাহের হার ছিল ৮৪ শতাংশ

২০১২-১৩ সালে সেই হার কমে দাঁড়ায় ৭৫ শতাংশ

২০০৯-১০ সালে শিশুদের রাতকানা রোগের প্রতিষেধক খাওয়ানোর হার ছিল  ৮৬ শতাংশ

২০১২-১৩ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২৮ শতাংশ

জরুরি প্রয়োজনে রক্ত পেতে নাকাল হন সাধারণ মানুষ। সরকারি ব্লাড ব্যাঙ্কে হত্যে দিয়েও সুরাহা মেলেনা। তার কারণও ধরা পড়েছে এই রিপোর্টে।

২০০৯-১০ সালে সরকারি ব্লাড ব্যাঙ্কে  মোট ৪লক্ষ ৫৯হাজার ২৭৭ ইউনিট রক্ত সংগৃহীত হয়েছিল

২০০১২-১৩ সালে সেই সংগ্রহের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪লক্ষ ২৮হাজার ৪৪২ইউনিট

রিপোর্টের তথ্য বলছে, মহকুমা ও গ্রামীণ হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে রোগী ভর্তির হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমছে। যা গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ও পরিষেবার বেহাল দশাকেই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। ওইসব হাসপাতালে কত ডাক্তারের পদ খালি, তার হদিশ ওই রিপোর্টে মেলেনি। নেই স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়নে খরচের বিশদ তথ্য। হাসপাতালে রোগীদের খাবারের মান উন্নয়নের জন্য বরাদ্দের তথ্যও পাওয়া যায়নি। রাজ্যস্তরের বিভিন্ন হাসপাতালে বেডের সংখ্যা বেড়েছে। ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যাও কমছে রাজ্যে। তবু  প্রশ্ন থাকছেই, নিজের হাতে থাকা স্বাস্থ্য দপ্তরকে এবার তিনি কত নম্বর দেবেন?

 

.