নিষ্ক্রিয়দের আর দলে প্রয়োজন নেই, সার্কুলারে নির্দেশ সিপিএমের
দল হবে ছোট, কিন্তু সংগঠিত। সিপিএমের এখন এটাই লক্ষ্য। তাই পুনর্নবীকরণের সভায় নিষ্ক্রিয় পার্টি সদস্যদের দল থেকে তাড়াতে কড়া নির্দেশ রাজ্য কমিটির।
ওয়েব ডেস্ক: দল হবে ছোট, কিন্তু সংগঠিত। সিপিএমের এখন এটাই লক্ষ্য। তাই পুনর্নবীকরণের সভায় নিষ্ক্রিয় পার্টি সদস্যদের দল থেকে তাড়াতে কড়া নির্দেশ রাজ্য কমিটির।
সিপিএমের এখন দুটো রোগ।
১...নিষ্ক্রিয়তা
২...বিশ্বাসঘাতকতা
সদস্যপদ পুনর্নবীকরণ প্রক্রিয়ায় নিষ্ক্রিয় পার্টি সদস্যদের দলছাড়া করতে এবার উঠেপড়ে লেগেছে সিপিএম। রাজ্য কমিটি এবং জেলা কমিটির সার্কুলারে এবার মূল ফোকাস, নিষ্ক্রিয়দের দল থেকে তাড়ানো।
কী বলা হয়েছে সার্কুলারে?
সমগ্র পার্টিকে নিষ্ক্রিয়তা মুক্ত করার অভিযান শুরু হয়েছে। যাঁরা নিষ্ক্রিয়, আলাপ আলোচনার মাধ্যমে একাংশকে সক্রিয় করা গেছে। কিন্তু এরপরেও যাঁরা নিষ্ক্রিয়, তাঁদের আর দলে প্রয়োজন নেই। পুনর্নবীকরণের সময় নির্দিষ্টভাবে দেখতে হবে, সক্রিয়করণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে তাঁরা কতটা যুক্ত হল। শেষপর্যন্ত চিহ্নিত নিষ্ক্রিয় সদস্যদের যে অংশের কোনও পরিবর্তন ঘটল না, তাঁদের জানিয়ে সভ্যপদ খারিজের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
নিষ্ক্রিয় সদস্যের সংখ্যা কত?
পুনর্নবীকরণের পরই চূড়ান্ত হবে সংখ্যাটা। তবে সংখ্যা যে বেশ কিছুটা কমবে, তার পূর্বাভাস স্পষ্ট।
প্রশ্ন হল, কেন নিষ্ক্রিয়?
নানা কাজে ব্যস্ত? দল পরিচালনায় অখুশি? নাকি , শত্রু শিবিরের ভয়ে নিজেকে গুটিয়ে রাখা?
সিপিএমে এই অসুখ কিন্তু নতুন নয়। দল যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন আরও একটা বড় সমস্যা ছিল অতি সক্রিয়তা। এখন নিষ্ক্রিয়তা। তাহলে কী এতবছর বাদে গণবিপ্লবী পার্টির স্লোগান থেকে বেরিয়ে এসে ছোট কিন্তু সংগঠিত পার্টি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চায় সিপিএম? প্রতিটি পুনর্নবীকরণের সভাতে এই নিয়ে তৈরি হচ্ছে জোর বিতর্ক।