#JusticeForDurga কুমারগঞ্জে গণধর্ষণ ও খুনের বিচার চেয়ে মিছিল রাজ্য বিজেপির
কুমারগঞ্জে ধর্ষণে ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে নন্দন চত্ত্বর থেকে হাজরা পর্যন্ত মিছিলের কর্মসূচি বিজেপির মহিলা ও যুব মোর্চা।
নিজস্ব প্রতিবেদন:শুক্রবার কলকাতায় বিজেপির মহিলা ও যুব মোর্চার মিছিল ঘিরে এক প্রস্থ নাটক চলল। প্রথমে পুলিসের অনুমতি না মেলা। অনুমতি ছাড়াই বিজেপি কর্মীদের জমায়েত। জমায়েত হঠাতে পুলিসের গ্রেফতারি । গ্রেফতারের সময় বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিসের ধ্বস্তাধস্তি। শেষমেশ, আদালতের অনুমতি নিয়ে বিজেপির মিছিল। নরেন্দ্র মোদীর সফরের আগের দিন উত্তেজনা ছড়াল নন্দন চত্ত্বরে।
কুমারগঞ্জে ধর্ষণে ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে নন্দন চত্ত্বর থেকে হাজরা পর্যন্ত মিছিলের কর্মসূচি নিয়েছিল বিজেপির মহিলা ও যুব মোর্চা। কিন্তু, পুলিশের অনুমতি মেলেনি। তবুও বিজেপি কর্মীরা বেলা ১২টা থেকে নন্দন চত্ত্বরে জমায়েত হতে থাকেন।বিনা অনুমতিতে জমায়েতের অভিযোগে বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার করতে শুরু করে পুলিস। এ নিয়ে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিসের ধ্বস্তাধস্তি বেঁধে যায়। পুলিসের অনুমতি নিয়ে মন্তব্য এড়িয়ে গেলেও ,মিছিল-মিটিং করতে বিজেপি কোনও বাধা পায় না বলে দাবি করে তৃণমূল।
শুক্রবার সকালেই কলকাতা হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয় বিজেপি। আদালত শর্তসাপেক্ষে মিছিলের অনুমতি দেয়। মিছিলের পথ ছোট করে নন্দন থেকে এক্সাইড মোড়- বিড়লা প্ল্যানেটরিয়াম- সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল হয়ে রবীন্দ্র সদন চত্ত্বর।এই রুটে মিছিলের অনুমতি দেন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য। মিছিলের সময়ও বেঁধে দিয়ে দুপুর ৩টে থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে করতে বলে হাইকোর্ট। আদালতের বেঁধে দেওয়া শর্ত মেনেই এরপর মিছিল করে বিজেপি।
নন্দন থেকে রবীন্দ্রসদন ঘুরে দেড়ঘণ্টার মধ্যে শেষ হয় মিছিল। বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন,''অন্য রাজ্যে ধর্ষণ হলে মুখ্যমন্ত্রী ছুটে যান। এরাজ্যের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী নীরব। সবচেয়ে বেশি মহিলারা নির্যাতিত হন এই রাজ্যেই। কোনও বিচার নেই। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, মিছিল কেউ আটকাতে পারবে না। প্রশাসন যদি ভেবে থাকে আমাদের আটকাবে, তাহলে বিকল্প পথ খুঁজে নেব। মিছিল করছি, ভবিষ্যতে আবারও করব। তৃণমূলের এই অত্যাচার সহ্য করব না।''
আরও পড়ুন- স্কুল-কলেজে সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠের আবেদন করে মমতাকে চিঠি SFI-র