Kunal on Bagda Rape: দক্ষ বিএসএফ জওয়ানদের বিজেপি নেতাদের নিরাপত্তায় তো নিয়োগ করা হচ্ছে! সরব কুণাল
গত বৃহস্পতিবার বাগদায় জিতপুর সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা করছিলেন বসিরহাটের ওই তরুণী। বিএসএফের ভয়ে তিনি একটি জমিতে লুকিয়ে পড়েন বলে খবর। সেখান থেকে তাঁরে বের করে এনে তাঁর ৫ বছরের মেয়ের সামনেই তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রাজনৈতিক ও অসাধু উদ্দেশ্যে বিএসএফের তল্লাশি চালানোর এক্তিয়ার সীমান্তের ১৫ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করে দেওয়া হয়েছে। এবার তার কুত্সিত্ ফল চোখে পড়ছে। উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায় এক বছর তেইশের তরুণীকে বিএসএফের জওয়ানের ধর্ষণের অভিযোগকে কেন্দ্রে করে এমনটাই মন্তব্য করলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। শনিবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, একজন মা-কে গণধর্ষিতা হতে হল। বিএসএফের সীমান্তের ভেতরে ঢোকার অধিকার ১৫ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে জোর করে ৫০ কিলোমিটার করা হয়েছে। এতে রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। বিএসএফের যারা দক্ষ ও ভালো কাজ করেন তাদের সীমান্তে রাখাই হচ্ছে না। সব বাহিনীতের দক্ষ, তারপরের একটি ধাপ, এভাবে ধাপ তো থাকতেই পারে। যারা কাজ করেন তাদের তো তুলে এনে বিজেপির চার আনার নেতাদের দেহরক্ষীর কাজ করানো হচ্ছে। বিজেপি যখন মিটিং ডাকে তখন দেড়শো লোক হয়। তার মধ্যে ৮০-১০০ জনই সেন্ট্রাল ফোর্সের কর্মী। তারা হয় ইউনিফর্মে কিংবা সিভিল ড্রেসে থাকেন। তাই বাকী যেসব বিএসএফ কর্মী সীমান্তে রয়েছেন তারা কতটা দক্ষ তা সমীক্ষা করে দেখা উচিত। একজন মহিলাকে ধরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হচ্ছে। চরম দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। কেন্দ্রের তরফে এখনওপর্যন্ত কেন দুঃখপ্রকাশ করা হচ্ছে না?
আরও পড়ুন- বিএসএফ-এর হাতে ধর্ষিতা গৃহবধূ, তীব্র প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক মহলে
ওই ঘটনা নিয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, পশ্চিমবঙ্গে ধর্ষণের ঘটনা বেড়েছে। এর জন্য কেউ কি বলেছে মুখ্যমন্ত্রী কিংবা তৃণমূল নেতারা তাদের কর্মীদের কোনও স্টিমুল্যান্ট খাইয়ে দিচ্ছে তৃণমূল কর্মীদের? রাজ্য সরকারের কোনও কর্মীর তরফে যদি কোনও বিচ্যুতি হয় তাহলে রাজ্যের সব কর্মীদের বরখাস্ত করতে হবে? আসলে বিভিন্ন ছুঁতোয় তৃণমূল কংগ্রেস বিএসএফকে সরাতে চায়। তার একটাই কারণ ওই যে মইদুল, ভিমরুলরা বাজারে ঘুরছে তারা ঠিকঠাক কাজ করতে পারে।
বাগদা গণধর্ষণকাণ্ডে এবার রিপোর্ট তলব করল রাজ্য শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন। কী ভাবে এমন ঘটনা ঘটল তা জানতে চায় কমিশন। ওই রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার ডিএম ও এসপির কাছে। আগামী ৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে। এনিয়ে চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী বলেন, ওই ঘটনার ব্যপারে জানতে চেয়েছি। কী হয়েছিল, কারা কারা অভিযুক্ত তা জানতে চাওয়া হয়েছে। বাচ্চাটি কেমন রয়েছে তা জানতে চাওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের কাছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বাগদায় জিতপুর সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা করছিলেন বসিরহাটের ওই তরুণী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্বামী ও দুই সন্তান। বিএসএফের তাড়া খেয়ে স্বামীর সঙ্গছাড়া হয়ে যান। বিএসএফের ভয়ে তিনি একটি জমিতে লুকিয়ে পড়েন বলে খবর। সেখান থেকে তাঁরে বের করে এনে তাঁর ৫ বছরের মেয়ের সামনেই তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘচনার জেরে ২ বিএসএফ জওয়ানকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। অভিযুক্তদের আদালতে তোলা হলে তাকে ৭ দিন পুলিস হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।