মহানায়কের মৃত্যুদিনে বিস্মৃত অরবিন্দ ভট্টাচার্য
মঙ্গলবার মহানায়ক উত্তমকুমারের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছিল সরকারি-বেসরকারি নানা অনুষ্ঠানের। কিন্তু সে সবে ডাক পেলেন না বাংলা সিনেমার স্বর্ণযুগের কলাকুশলীদের অনেকেই। এঁদেরই একজন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র সম্পাদক অরবিন্দ ভট্টাচার্য।
মঙ্গলবার মহানায়ক উত্তমকুমারের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছিল সরকারি-বেসরকারি নানা অনুষ্ঠানের। কিন্তু সে সবে ডাক পেলেন না বাংলা সিনেমার স্বর্ণযুগের কলাকুশলীদের অনেকেই। এঁদেরই একজন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র সম্পাদক অরবিন্দ ভট্টাচার্য। `চাঁপা ডাঙার বউ,` `চাওয়া পাওয়া`, `রাজলক্ষ্মী-শ্রীকান্ত`, থেকে শুরু করে মহানায়কের একাধিক জনপ্রিয় ছবির সম্পাদনা করেছেন অরবিন্দ ভট্টাচার্য।
বেহালার তারাতলায় ফুটপাতে ভাতের হোটেল ৮৫ বছরের এক বৃদ্ধ এবং তাঁর স্ত্রীর। অশীতিপর বৃদ্ধের আরও একটা পরিচয় আছে। বাংলা সিনেমার স্বর্ণযুগে জনপ্রিয় বহু ছবির সম্পাদনা করেছেন এই বৃদ্ধ। ইনি অরবিন্দ ভট্টাচার্য। সত্যজিত রায় থেকে ঋত্ত্বিক ঘটক, মৃণাল সেন, তপন সিংহ থেকে রাজেন তরফদার--স্বনামধন্য পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। `চাঁপা ডাঙার বউ`, `চাওয়া পাওয়া`, `রাজলক্ষ্মী -শ্রীকান্তে`র মতো মহানায়ক উত্তমকুমারের বহু ছবিতে সম্পাদনার দায়িত্বে ছিলেন অরবিন্দবাবু। কিন্তু চব্বিশে জুলাই মহানায়কের মৃত্যুবার্ষিকীতে সরকারি অনুষ্ঠানে ডাক পাননি তিনি। অথচ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া ফিল্ম এডিটরস্ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির পদে এখনও আসীন অরবিন্দবাবু।
১৯৫২ সালে প্রথম আলো ছবি দিয়ে সম্পাদনার কাজ শুরু। উত্তমকুমার ছাড়াও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের `তিন ভুবনের পারে`, `প্রথম কদম ফুল`, বা তপন সিংহ পরিচালিত `এক ডক্টর কী মওতে`র মতো বিখ্যাত ছবির সম্পাদনা করেছেন অরবিন্দবাবু। দুহাজার দুই সালে তাঁর সম্পাদিত শেষ ছবি তপন সিংহের হুইল চেয়ার। সে সব ছবি মনে রেখেছে বাঙালি। তবে ছবির রূপকারদের অনেককেই মনে রাখেনি। ক্ষমতায় আসার পর বাংলা চলচ্চিত্র সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি কমিটি গঠিন করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কিন্তু অন্তরালেই থেকে গেছেন অরবিন্দবাবুর মতো স্বর্ণযুগের বহু কুশীলব। যেমন মনে রাখেনি অরবিন্দ ভট্টাচার্যকে।