বিধানসভায় নজিরবিহীন ধুন্ধুমার হাতাহাতি
শাসক ও বিরোধী দলের বিধায়কদের হাতাহাতির জেরে মুলতুবি হয়ে গেল বিধানসভার অধিবেশন। আজ সভায় চিটফান্ডের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব আনতে চায় বামেরা। কিন্তু অধ্যক্ষ অনুমতি দেননি। এরপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সভা। প্রতিবাদে সভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন বাম বিধায়করা। এই পরিস্থিতিতে আচমকাই বিরোধীদের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় শাসকদলের বিধায়কদের। শুরু হয় তুমুল হট্টগোল। এই পরিস্থিতিতে তখনকার মত সভা মুলতুবি করে দেন অধ্যক্ষ। বামেদের অভিযোগ বিধানসভায় বিরোধীদের কোনও কথা বলতে দিচ্ছে না শাসকদল।
নজিরবিহীন হাতাহাতির সাক্ষী হল বিধানসভা। শাসক ও বিরোধী দলের মধ্যে দফায় দফায় মারপিট, মহিলা বিধায়ককে মাটিতে ফেলে মার, কটূক্তি, সব মিলিয়ে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বিধানসভা। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যপালের দারস্থ হয়েছে বাম বিধায়করা। যদিও আজকের ন্যাক্কারজনক ঘটনার দায় বামেদের ওপরই চাপিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী তথা তৃণমূলের পরিষদীয় দলনেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, "মানুষের কাছে কলকে না পাওয়ায় এখন বিধানসভায় তাণ্ডব চালাচ্ছে সিপিআইএম।" অধ্যক্ষকেও শারীরিক নিগ্রহ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
ঘটনার সূত্রপাত চিটফান্ডের বাড়বনাড়ন্ত নিয়ে বামেদের মুলতুবি প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে। বিরোধীদের মুলতুবি প্রস্তাবের দাবি সরাসরি খারিজ করে দেন অধ্যক্ষ। এরপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সভা। প্রতিবাদে সভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন বাম বিধায়করা। এই পরিস্থিতিতে আচমকাই বিরোধীদের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় শাসকদলের বিধায়কদের। শুরু হয় তুমুল হট্টগোল। এই পরিস্থিতিতে তখনকার মত সভা মুলতুবি করে দেন অধ্যক্ষ।
বামেদের অভিযোগ, শাসকদলের বিধায়করা বাম সদস্য দেবলীনা হেমব্রমকে কটূক্তি করে। পরে সভায় হাতাহাতির ঘটনায় এই অধিবেশনের জন্য তিন বাম বিধায়ককে সাসপেন্ড করেন অধ্যক্ষ। তাঁরা হলেন, নাজিমুল হক, শেখ আমজাদ হুসেন এবং সুশান্ত দেওরা।
অধ্যক্ষের ঘোষণার পর নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সভা। ফের শুরু হয় তুমুল মারপিট। অভিযোগ, মাটিতে ফেলে শাসকদলের কয়েকজন বিধায়ক দেবলীনা হেমব্রমকে মারধর করে। সিপিআইএম বিধায়ক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়কেও ব্যাপক মারধর করা হয়। তাঁর মাথা ফেটে যায়। আহত বিধায়ককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরই মাঝে ওয়াকআউট করে কংগ্রেস। গোটা ঘটনায় তাঁরাও রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন ।