অসমে বাঙালি খুনে বিজেপি যোগের অভিযোগ তোলায় অভিষেককে আইনি নোটিস
অভিষেকের এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনি নোটিস পাঠাল বিজেপি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: অসমে পাঁচ বাঙালি যুবকের হত্যার ঘটনায় বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সাংসদ বলেছিলেন, ''ব্রহ্মপুত্রের চরে পাঁচ বাঙালিতে গুলি করে খুন করা হয়েছে। এমন নৃশংস ঘটনার কাছে সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম ও নেতাইয়ের গণহত্যাও লজ্জা পাবেন। সর্বত্র বাঙালিদের উপর বিজেপির অত্যাচার চলছে''। অভিষেকের এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনি নোটিস পাঠালেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়।
নোটিসে বলা হয়েছে, ৭ দিনের মধ্যে ক্ষমা চাইতে হবে ডায়মণ্ডহারবারের সাংসদকে। নচেত্ মানহানির মামলা করা হবে।
বাঁকুড়ার সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, যে সব বাঙালি ভাইয়েরা খুন হয়েছেন, তাঁদের রক্ত ব্যর্থ হতে দেব না। আগামী দিনেও চলবে লড়াই। দিল্লির বুকে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো। এমনকি মুকুল রায়স রাহুল সিনহাদের ক্ষমাপ্রার্থনাও দাবি করেন। অভিষেক আরও দাবি করেছিলেন, ''লড়াইটা তৃণমূল বনাম বিজেপি নয়। লড়াইটা বাঙালির অস্তিত্ব বনাম বিজেপির সাম্প্রদায়িকতা ও জুলুমবাজি। একের পর এক বাঙালির উপরে অত্যাচার করেছে বিজেপি। বাংলা লিখতে-পড়তে পারে না। বাইরে থেকে লোক এনে বাংলা দখলের স্বপ্ন দেখছে''।
তিনসুকিয়ায় মৃত ৫ বাঙালি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে রবিবার সকালে অসমে যায় তৃণমূলের চার সদস্যের প্রতিনিধি দল। রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের নেতৃত্বে ছিলেন নাদিমুল হক, মমতা ঠাকুর ও মহুয়া মৈত্র। ডিব্রুগড় বিমানবন্দরে পুলিসের সঙ্গে কথা বলে তিনসুকিয়ায় ডেরেকরা। পাশে থাকার বার্তা নিয়ে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। তৃণমূল বিধায়ক মহুয়া মৈত্র অসমের বাঙালিদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে বলেছেন, “ভয় নেই, পাশে আছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। ”
আরও পড়ুন- দক্ষিণশ্বরে স্কাইওয়াক উদ্বোধনের পর মুখ্যমন্ত্রীর গোটা ভাষণ জুড়েই 'হিন্দুত্ব'