Alapan Banerjee: রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরলেন শুভাপ্রসন্ন, এলেন আলাপন
মুখ্যসচিব থাকাকালীন তিনি দক্ষতার সঙ্গেই সবকিছু সামাল দিয়েছেন। এমনকি মুখ্যসচিবের পদ থেকে সরে যাওয়ার পরও তিনি মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেব কাজ করছেন। এবার সেই পদের পাশাপাশি তাঁকে হেরিটেজ কমিশনের চেয়ারম্যানও করা হল
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রায় এগারো বছর পর রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের চেয়ারম্য়ান পদে নতুন কেউ। ২০১১ সালে রাজ্যে পট পরিবর্তনের পর থেকেই ওই পদে ছিলেন শিল্পী শুভাপ্রসন্ন। এবার সেই পদে এলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এতদিন আলাপন ছিলেন কাস্ট-এর চেয়ারম্যান পদে। সেই জায়গায় এলেন সুগত বসু।
আরও পড়ুন-ভয়ংকর! ভিডিয়ো কলে সিনিয়র ছাত্রীকে ব্লেড দিয়ে যৌনাঙ্গ চিরতে বাধ্য করল জুনিয়র
শিল্পী শুভাপ্রসন্নর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্ক খুবই ভালো। তার পরেও কেন হেরিটেজ কমিশনের চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরানো হল শুভাপ্রসন্নকে? সূত্রের খবর, ওই পদে রাজ্যসরকার নবীন কাউকে চাইছিল রাজ্য সরকার। আমলা হিসেব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের দক্ষতা প্রশ্নতীত। রাজ্য় সরকার যে দফতরেই তিনি থেকেছেন সেখানেই অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে কাজ করেছেন। মুখ্যসচিব থাকাকালীন তিনি দক্ষতার সঙ্গেই সবকিছু সামাল দিয়েছেন। এমনকি মুখ্যসচিবের পদ থেকে সরে যাওয়ার পরও তিনি মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেব কাজ করছেন। এবার সেই পদের পাশাপাশি তাঁকে হেরিটেজ কমিশনের চেয়ারম্যানও করা হল।
উল্লেখ্য, অবসর নেওয়ার আগে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে রাজ্যে ও কেন্দ্র সরকারের সংঘাত বেধে যায়। কেন্দ্রের তরফে আলাপনকে দিল্লিতে কাজে যোগ দিতে বলা হয়। অন্যদিকে আলাপনকে আটকাতে কেন্দ্রকে চিঠি লেখেন মমতা। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে ক্ষোভপ্রকাশও করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের সঙ্গে কোনও পরামর্শ না করে, কেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নর্থ ব্লকে কাজে যোগ দিতে বলা হল? এই বিষয়ে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। এই ধরনের ঘটনা নজিরবিহীন বলে ব্যাখ্যা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, গোটা ঘটনায় তিনি অত্যন্ত হতবাক এবং মর্মাহত। চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী কলাইকুণ্ডার ঘটনার কথাও উল্লেখ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, এই কোভিড পরিস্থিতিতে রাজ্যের যেভাবে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছেন মুখ্যসচিব সেই বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন। তুলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোতে কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয় রেখে কাজের কথাও। কার্যত নরমেগরমে লেখা এই চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিয়েছেন, কোনও মতেই মুখ্যসচিবকে ছাড়ছে না রাজ্য। বরং নির্দেশ প্রত্যাহার করুক কেন্দ্র।