ধোঁয়াশা বেশি থাকলে শীতের সকালে বাইরে নয়!

শীতে বাতাসের গুণগত মান খুবই খারাপ থাকে, দূষণ এড়াতে মানুন এই নিয়ম!

Updated By: Nov 22, 2020, 06:15 PM IST
ধোঁয়াশা বেশি থাকলে শীতের সকালে বাইরে নয়!

নিজস্ব প্রতিবেদন: শীত-শীত করে তো আমরা মাথা কুটে ফেলছি। কিন্তু আমরা ক'জন জানি, শীত এলে আমাদের সারা বছরের বায়ুদূষণের মাত্রা এক লাফে অনেকটাই বেড়ে যায়!

বিজ্ঞানীরা বলছেন, তাপমাত্রা কমলেই বায়ুদূষণের মাত্রা বাড়ে। ক্ষতিকর ধূলিকণা আমাদের শ্বাসযন্ত্রে প্রবেশ করে। বাতাসে ধোঁয়া, কার্বন ডাই অক্সাইড, মিথেন ইত্যাদি একাধিক ক্ষতিকর উপাদানের পরিমাণ বাড়ে। যার প্রভাবে অ্যাজমা, ফুসফুসে সংক্রমণ, হাঁপানি-সহ একাধিক রোগ হতে পারে দূষিত এলাকার বাসিন্দাদের। 

যদিও চাইলেই এই যানবাহন, কলকারখানার দূষণ থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব হয় না। এই পরিস্থিতিতে তবুও দূষণ থেকে বাঁচাতে হবে নিজেকে। কী ভাবে?

সম্প্রতি 'কেমিক্যাল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং নিউজ' জার্নালে বায়ুদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে গবেষণার একটি সমীক্ষ প্রকাশ করা হয়েছে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্ক সকলের শরীরেই বায়ুদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। বায়ুদূষণের জেরে শরীরে স্নায়ুসংক্রান্ত নানা অসুবিধা দেখা যায়। পাশাপাশি অ্যাজমা, ফুসফুসে সংক্রমণ, হাঁপানিস-সহ একাধিক রোগ হতে পারে। বায়ুদূষণের প্রভাবে অন্তঃসত্ত্বার শরীরেও নানা সমস্যা হয়। এর জেরে বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, শীতে বাতাসের গুণগত মান হ্রাস পাওয়ায় নির্দিষ্ট আয়ুষ্কালের আগেই বিশ্ব জুড়ে প্রায় ৪.২ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

ক্রমবর্ধমান বায়ুদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচতে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করার কথা বলা হচ্ছে। যদি সকালের দিকে ধোঁয়াশা বৃদ্ধির খবর থাকে, তা হলে শরীরচর্চার জন্য সেদিন বাইরে না যাওয়াই ভালো। যে সব জায়গায় যানজট তীব্র সেই এলাকাগুলি থেকে দূরে থাকা বাঞ্ছনীয়। বায়ুদূষণ সৃষ্টিকারী যে কোনও এনার্জি সোর্স থেকে দূরে থাকতে হবে। বাড়িতেও এই জাতীয় যন্ত্র থাকলে কমাতে হবে তার ব্যবহার। ঘরের মধ্যে ধূমপান না করলেই ভালো।

আরও পড়ুন:  ''ইলিশ খেয়ে কাঁটা ফেলে যায় মাঠে'', সাধন-পরেশের যুদ্ধ প্রকাশ্যে! ভরা মঞ্চ থেকে আক্রমণ

.