রাজ্যে গুরুত্ব বাড়ছে কৃষি গবেষনার
রাজ্যে কৃষিজমির পরিমাণ কমছে। উত্পাদনও আশাজনক নয়। অথচ জনসংখ্যা বাড়ছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাই বিজ্ঞানসম্মত চাষকেই পাখির চোখ করছে রাজ্য সরকার। কৃষি শিক্ষার পরিকাঠামো ঢেলে সাজানো হচ্ছে। গুরুত্ব বাড়ছে কৃষি গবেষণায়।
কলকাতা: রাজ্যে কৃষিজমির পরিমাণ কমছে। উত্পাদনও আশাজনক নয়। অথচ জনসংখ্যা বাড়ছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাই বিজ্ঞানসম্মত চাষকেই পাখির চোখ করছে রাজ্য সরকার। কৃষি শিক্ষার পরিকাঠামো ঢেলে সাজানো হচ্ছে। গুরুত্ব বাড়ছে কৃষি গবেষণায়।
আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় চাষবাসের কার্যত দফারফা। ঘোর শরতেও এখন ভরা বর্ষার আমেজ। বৃষ্টি চলে প্রায় সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। কাজেই ধান বোনার সময়ে হেরফের হচ্ছেই। পরবর্তী পর্যায়ে সেচের জল নিয়েও চলছে টানাপোড়েন। অথচ সাবেক চাষবাসের রীতি আঁকড়ে থাকা গ্রামবাংলার কৃষকরা এই বদলের সঙ্গে তাল মেলাতে পারছেন না। মার খাচ্ছে কৃষি উত্পাদন। যার পরিণতি আদৌ সুখকর নয়।
জনসংখ্যা অনুযায়ী উত্পাদন বাড়ছে না। আগামী দিনে খাদ্য নিরাপত্তা বিপন্ন হওয়ার সম্ভাবনা থাকছেই। কৃষি উত্পাদন কমলে মাথাপিছু আয়ের সূচকেও হেরফের হতে পারে। এই অবস্থায় বিকল্প পদ্ধতিতে চাষই হতে পারে মুশকিল আসান। উন্নত বীজ, সার, কীটনাশক তো অবশ্যই প্রয়োজন। চাষবাসে বিজ্ঞানসম্মত দৃষ্টিভঙ্গিও জরুরি। কৃষি গবেষকদের নিত্যনতুন কর্মকাণ্ডই এক্ষেত্রে পথ দেখাতে পারে। কিন্তু এসব বিষয়ে রাজ্যের দুটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এখনও তেমন কোনও অবদান খুঁজে পাননি কৃষিমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। কৃষি বিষয়ক গবেষণা বাড়াতে ও তরুণ কৃষিবিজ্ঞানী তৈরি করতে তাই পরিকাঠামো বাড়ানোয় জোর দিচ্ছেন তিনি।
রাজ্যের সব জেলায় তৈরি করা হবে কৃষি বিষয়ক পঠনপাঠন ও. বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এমন একটি প্রতিষ্ঠান চালু হয়ে গেছে. বাঁকুড়া এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনেও হবে এমন কলেজ. হিসাব বলছে, চলতি অগাস্ট মাস পর্যন্ত বৃষ্টির যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। এতে চাষের ক্ষতি নিয়ে ইতিমধ্যেই বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ব্লক থেকে রিপোর্ট তলব করেছেন কৃষিমন্ত্রী। ক্ষতিপূরণের পথ কী? ঘুরেফিরে সেই বিকল্প পদ্ধতিতে চাষই হয়ে উঠছে সম্ভাব্য মুশকিল আসান।