Exclusive Abhishek: অমিত শাহকে কখনও আক্রমণ করেছেন বিমান বসু? RSS প্রসঙ্গ টেনে অভিষেককে পাল্টা বিঁধলেন সুজন
আরএসএসের দয়ায় তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি হয়েছে। ফলে বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াই করা হিম্মত ওদের নেই
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস, সিপিএমের লক্ষ্য ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে হারানো। তাই রাজ্যের যখন খুব প্রয়োজন ছিল তখন বিজেপির বিরুদ্ধে কিছুই বলেনি সিপিএম বা কংগ্রেস। জি ২৪ ঘণ্টাকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এমনই অভিযোগ এনেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তৃণমূল নেতার সেই মন্তব্যের জবাব দিলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী।
কী বলেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়(Abhishek Banerjee)? তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাজ্য বা কেন্দ্রীয় বিজেপির বিরুদ্ধে সেই অর্থ কোনও আন্দোলন করেনি কংগ্রেস বা সিপিএম। দেখিয়ে দিন, কোনও একটা সাংবাদিক সম্মেলনে অধীর চৌধুরী(Adhir Chowdhury) বা বিমান বসু(Biman Basu) অমিত শাহকে আক্রমণ করেছেন বা গালাগাল করেছেন? আইএসএফের একটা সাংবাদিক সম্মেলন করেছে কিনা দেখান? এদের সবার টার্গেট ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সময়ে বন্ধুকে চাই। উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী না দেওয়ার ফলে খুব কি সমস্যা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee)? লক্ষ্য করে দেখুন, একইসঙ্গে ভোট হচ্ছে বাংলা ও কেরলে। আপনি কেরলে লড়ছেন সিপিএমের বিরুদ্ধে। আর বাংলায় লড়াই করছেন সিপিএমের সঙ্গে। এই দলকে কী বলবেন আপনি! আসলে এদের উদ্দেশ্য হল মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও তৃণমূল কংগ্রেসকে ক্ষমতাচ্যুত করা।
এনিয়ে সুজন চক্রবর্তী(Sujan Chakraborty) বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় যেভাবে বলেছেন তার অর্থ এই দাঁড়ায় যে অমিত শাহকে আক্রমণ করা মানে আরএসএসের বিরোধিতা করা। তৃণমূল কংগ্রেস কখনও আরএসএসের(RSS) বিরুদ্ধে কোনও কথা বলেনি। কারণ আরএসএসের দয়ায় তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি হয়েছে। বিজেপির সঙ্গে সরকার গড়েছে। আরএসএসের দয়ায় যৌথভাবে বাংলায় বিজেপিকে এনেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ফলে বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াই করা হিম্মত ওদের নেই। ব্যক্তিগত আক্রমণ আমরা করি না।
আরও পড়ুন-Exclusive Abhishek: বিজেপির সঙ্গে ডিল! ভোট কাটতেই গোয়ায় যাচ্ছে তৃণমূল?, জবাব দিলেন অভিষেক
সিপিএম নেতা আরও বলেন, ২০০৪ সাল পর্যন্ত এনডিএর শরিক ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কেন্দ্রের মন্ত্রী ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেইসময় রাজ্যে বিজেপিকে নিয়ে চলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সময়ে বিজেপির কাউন্সিলর পর্যন্ত ছিল না। সেই সময় আমরা বলেছিলাম বিজেপিকে হারানোটা আমাদের প্রধান কাজ। আমাদের নীতি ছিল বিজেপিকে যেখানে আমরা হারাতে পারব সেখানে হারাব, আর যেখানে পারব না সেখানে বিজেপি বিরোধী শক্তিকে সহায্য করব। দেশে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি ও কর্পোরেটদের মাতব্বরির বিরুদ্ধে বলার হিম্মত ওদের আছে? ওরা যেটা করে তা হল বিজেপির বিরুদ্ধে হয়তো টানা বলল কিন্তু যখনই সিবিআই বা ইডির ডাক পড়ল তখনই সব চুপ। জেরা থেকে বেরিয়ে এসে ওরা কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বলা শুরু করল যাতে বিজেপি খুশি হয়। এটা লড়াই! বিমান বসুরা বলেনি? ওরা লড়েছে? পশ্চিমবঙ্গে বামপন্থীরা যতদিন ছিল ততদিন এরাজ্যে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করার সুযোগ বিজেপি পায়নি। তার পরে ওরা পেয়েছে। সেটা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের বদান্যতায়। এই সত্যকে স্বীকার করার সাহস ওদের নেই। অমিত শাহর(Amit Shah) বিরুদ্ধে বলার কথা তো আমাদের নয়। অমিত শাহ, মোদী ও আরএসএস মিলিয়ে একটা টিম। তাদের বিরুদ্ধেই বলেছে বামেরা। এটা সবাই বোঝে। শুধু তৃণমূল বোঝে না। আর বোঝে না বলেই গোয়াতে যখন বিজেপি হারতে চলেছে সেখানে তৃণমূল গোয়াতে গিয়ে হাজির হয়। গোয়াতে(Goa) বিজেপির হার ঠেকাতেই ওখানে গিয়েছেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। সেটা হলে সিবিআই ইডি একটু চুপচাপ থাকবে।
এখানেই থেমে থাকেননি সুজন চক্রবর্তী। তিনি আরও বলেন, বিজেপি যদি তৃণমূলের বিরুদ্ধে সিবিআই-ইডিকে অনুমতি দিত, তাদের মতে করে তদন্ত করতে দিত তাহলে তৃণমূলের যেসব নেতা লপচপানি করে তাদের বেশিরভাগই থাকতো জেলে। এক সময় মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে বিজেপি বলতো। সেই মুকুল রায় বিজেপিতে আসার পর সব বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। অন্যরকম কথা বলেছিল। এখন মকুল রায়(Mukul Roy) ফের তৃণমূলে। এবার অন্য কোনওরকম কথা বলতে পারে।