Exclusive Abhishek: বিজেপির সঙ্গে ডিল! ভোট কাটতেই গোয়ায় যাচ্ছে তৃণমূল?, জবাব দিলেন অভিষেক

অভিষেকের অভিযোগ, রাজ্যের মানুষ বুঝতে পারছে বিজেপির বিভেদের রাজনীতির সময় কংগ্রেস বন্ধুত্বের হাত না বাড়িয়ে এখন অনেক কথা বলছে

Updated By: Feb 6, 2022, 09:11 PM IST
Exclusive Abhishek: বিজেপির সঙ্গে ডিল! ভোট কাটতেই গোয়ায় যাচ্ছে তৃণমূল?, জবাব দিলেন অভিষেক

নিজস্ব প্রতিবেদন: বিধানসভা নির্বাচনের পরে তৃণমূল কংগ্রেসেরে নজরে ছিল ত্রিপুরার পুরভোট। তারপর এবার ঘাসফুলের নজরে গোয়া বিধানসভা নির্বাচন। এর মধ্যেই কংগ্রেসকে বাইরে রেখে বিজেপি বিরোধী একটি জোটের কথা ভাবছে তৃণমূল কংগ্রেস। মুম্বইয়ে শরদ পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রকাশ্যে একথা বলেওছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এনিয়ে জি ২৪ ঘণ্টাকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে খোলামেলা আলোচনা করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়।

গোয়ার উপরে তৃণমূলের নজর কেন? তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের ব্যাখ্য়া, অনেকে ভাবছে দেশের ৫ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হচ্চে। তাহলে গোয়ার তৃণমূল যাচ্ছে কেন? গোয়ায় মাত্র ৪০টি আসন। ২০-২২ লাখ ভোটদাতা। গত বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস একক দল হিসেবে ভোটে বেশি আসন পেয়েছিল। ১৭টি আসন এসেছিল তাদের ঝুলিতে। কিন্তু গোয়া কংগ্রেস যখন রাজ্যপালের কাছে সরকার গঠন করার জন্য চিঠি দেয় তখন দিল্লি থেকে দিগ্বিজয় সিং বলেন, সরকার গঠন করা যাবে না।  অর্থাত্ বিজেপিকে যদি আপনি হারাতে চান তাহলে কংগ্রেসের উপরে অনন্তকাল ভরসা করে থাকতে পারেন না। তাই গোয়ায়(Goa Assembly Election 2022) যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১৪ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত আমরা কংগ্রেসের উপরে আমরা ভরসা করেছি। তাতে হয়েছেটা কী? মাত্র ৫ শতাংশ ভোটে কংগ্রেস জিতেছে। ৯৫ শতাংশ ভোটে বিজেপি জিতেছে। তারপরেও আমরা একসঙ্গে চলতে চেয়েছি। গোয়ায় গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, যারা বিজেপিকে হারাতে চান তারা একসঙ্গে আসুন। আমাদের কোনও ইগো নেই। কিন্তু যেখানে কংগ্রেসের বিধায়করা ক্ষমতায় থাকার জন্য টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয় সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস যাবে।

পেগাসাস(Pegasus) কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসার পর কংগ্রেস তাদের টুইটার হ্য়ান্ডেলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Abhishek Banerjee) পাশে থেকেছে, ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বন্ধুত্বের বার্তা দিয়েছে। তারপর আপনারা গোয়ার লুইজিনহো ফেলেইরো ও সুস্মিতা দেবকে তৃণমূলে যোগদান করাচ্ছেন। এটা কীভাবে হয়? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ধরে নিন উপনির্বাচনে কংগ্রেস তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিল না। তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) ৫৮ হাজারে জিতেছিলেন, প্রার্থী দিলে ৫২ হাজারে জিততেন। ২০২১ সালের নির্বাচনে এই ধরনের পদক্ষেপের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সেই সময়ে কংগ্রেস সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আইএসএফের সঙ্গে জোট করেছিল। সেই সময় গোটা রাজ্যে একটা সঙ্কটের পরিস্থিতি ছিল। বিধানসভা নির্বাচনে ২১৩ আসন পাওয়ার পর এই বদান্যতার কোনও প্রয়োজন ছিল না।  এটা কংগ্রেসকে বুঝতে হবে। 

অভিষেকের অভিযোগ, রাজ্যের মানুষ বুঝতে পারছে বিজেপির বিভেদের রাজনীতির সময় কংগ্রেস বন্ধুত্বের হাত না বাড়িয়ে এখন অনেক কথা বলছে। তৃণমূল নেতা বলেন, দেখিয়ে দিন, কোনও একটা সাংবাদিক সম্মেলনে অধীর চৌধুরী(Adhir Chowdhury) বা বিমান বসু অমিত শাহকে আক্রমণ করেছেন বা গালাগাল করেছেন? আইএসএফের একটা সাংবাদিক সম্মেলন দেখান? এদের সবার টার্গেট ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তখন আমার বন্ধুত্বের একটা হাতের প্রয়োজন ছিল। সময়ে বন্ধুকে চাই। উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী না দেওয়ার ফলে খুব কি সমস্যা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের? লক্ষ্য করে দেখুন, একইসঙ্গে ভোট হচ্ছে বাংলা ও কেরলে। আপনি কেরলে লড়ছেন সিপিএমের বিরুদ্ধে। আর বাংলায় লড়াই করছেন সিপিএমের সঙ্গে। এই দলকে কী বলবেন আপনি! আসলে এদের উদ্দেশ্য হল মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও তৃণমূল কংগ্রেসকে ক্ষমতাচ্যুত করা। কংগ্রেস প্রয়োজনের সময় তো এগিয়ে আসেনি? আপনাদের কী মনে হয় দুবারের মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো কিংবা সুস্মিতা দেবের মতো নেতাকে কোনও প্রলোভন দেখিয়ে আনা যায়?

আরও পড়ুন-'শুধু গানের জগতের নয়, লতা মঙ্গেশকর রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নতি চাইতেন' শোকজ্ঞাপন মোদি, মমতার

কংগ্রেস বলছে ভোট কাটতেই গোয়ায় যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইডি, সিবিআই থেকে বাঁচতে বিজেপির সঙ্গে এই ডিল করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এটা একটা ডিল। কংগ্রেসের এমন অভিযোগ নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই জন্যই কি তৃণমূল ত্রিপুয়ার গিয়ে মার খেয়ে বিজেপির সঙ্গে লড়াই করছে আর কংগ্রেস টুইটারে বিজেপির সঙ্গে লড়ছে। কংগ্রসেকে ধাক্কা দিতে গেলে আমি প্রথমে ছত্তীসগড়ে যেতাম। বিজেপির সঙ্গে আমার সেটিং থাকলে আমি পঞ্জাবে যেতাম। গোয়ার মানুষ কংগ্রেসকে ১৭টা আসন দেওয়ার পরও তা ধরে রাখতে পারেনি কংগ্রেস। দলের ১৪ জন বিধায়ক কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। বিজেপির সরকার তৈরি হয়েছে কংগ্রেসের কারণে। আমি দেশের একমাত্র লোক যিনি অমিত শাহের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। ওরা যতই ইডি-সিবিআই লাগাক আমাদের লড়াই আরও বাড়বে। কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের পার্থক্য হল, গত ৭ বছর কংগ্রেস বিজেপির কাছে ধারাবাহিকভাবে হেরেছে। আর তৃণমূল বিজেপিকে হারিয়েছে। আমরা মাঠে ময়দানে লড়ছি। 

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.