মদনের সারাদিন
দুপুরে সিবিআই অফিসে হাজিরা। সন্ধেয় ভবানীপুর থানায় রিপোর্টিং। দিনভর খবরে মদন মিত্র। যতবারই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হলেন ততবারই বোঝানোর আপ্রাণ চেষ্টা করলেন, এখন আর তাঁকে প্রভাবশালী বলা চলে না।
ওয়েব ডেস্ক: দুপুরে সিবিআই অফিসে হাজিরা। সন্ধেয় ভবানীপুর থানায় রিপোর্টিং। দিনভর খবরে মদন মিত্র। যতবারই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হলেন ততবারই বোঝানোর আপ্রাণ চেষ্টা করলেন, এখন আর তাঁকে প্রভাবশালী বলা চলে না।
দুহাজার চোদ্দর বারই ডিসেম্বর সিবিআইয়ের সমন পেয়ে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে যান মদন মিত্র। সেখানেই গ্রেফতার। বাইশ মাস পর শুক্রবার আদালতের নির্দেশে সেই সিজিও কমপ্লেক্সেই হাজিরা দিলেন তিনি। সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার না থাকায় ঘণ্টাখানেক অপেক্ষা করে বেরিয়ে এলেন মদন মিত্র। আর বোঝানর চেষ্টা করলেন তিনি এখন কমন ম্যান।
জামিন খারিজের আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছে সিবিআই। নিম্ন আদালতের নির্দেশে হোটেলবন্দি তিনি। জেল থেকে বেরিয়েও বাড়ি ফেরা হয়নি, রাজনৈতিক মহল বলছে, মদন মিত্র সতর্ক। প্রতি মুহূর্তেই বোঝানোর চেষ্টা করছেন এখন আর তাঁর কোনও প্রভাব নেই।
আরও পড়ুন- ভবানীপুরের বাইরে যেতে পারবেন মদন মিত্র? আলিপুর আদালতে আজ ফের আবেদন জানাবেন তাঁর আইনজীবীরা
এখন একেবারেই বাধ্য মদন। নিয়ম মেনে ভবানীপুর থানায় জানালেন তিনি সিবিআই অফিস থেকে ফিরে এসেছেন। সঙ্গে বললেন, তিনি নাকি এখন দলছুট। নিম্ন আদালতের নির্দেশে ভবানীপুর থানার বাইরে যাওয়া মানা। শুক্রবার আলিপুর আদালতের অনুমতি নিয়ে সল্টলেকে সিবিআই অফিসে যান মদন মিত্র। কিন্তু, বাড়ি তাঁর কালীঘাট থানা এলাকায়, তাই আদালতে তাঁর আর্জি জানিয়েছেন, ভবানীপুরের বদলে কালীঘাট থানা এলাকার মধ্যে থাকতে
বলা হোক। তাহলে বাড়ি ফিরতে পারবেন। হোটেলে আটকে থাকতে হবে না। বিশে সেপ্টেম্বর আলিপুর আদালতে মদন মিত্রর এই আর্জির শুনানি।