ধৃত তৃণমূল কাউন্সিলর অনিন্দ চ্যাটার্জির বিরুদ্ধে ৬টি ধারায় মামলা, ৩টি জামিন-অযোগ্য ধারা

তোলার টাকা না দেওয়ায় সল্টলেকের বাসিন্দা সন্তোষ লোধের বাড়িগিয়ে নির্মান সংক্রান্ত জিনিসপত্র ফেলে দেন কাউন্সিলর অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। দেওয়া হয় খুনের হুমকিও। আদালতে এমনই অভিযোগ করেন সরকারি আইনজীবী। বিচারক অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের চোদ্দো দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। 

Updated By: Jul 12, 2016, 11:17 PM IST
ধৃত তৃণমূল কাউন্সিলর অনিন্দ চ্যাটার্জির বিরুদ্ধে ৬টি ধারায় মামলা, ৩টি জামিন-অযোগ্য ধারা

ব্যুরো: তোলার টাকা না দেওয়ায় সল্টলেকের বাসিন্দা সন্তোষ লোধের বাড়িগিয়ে নির্মান সংক্রান্ত জিনিসপত্র ফেলে দেন কাউন্সিলর অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। দেওয়া হয় খুনের হুমকিও। আদালতে এমনই অভিযোগ করেন সরকারি আইনজীবী। বিচারক অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের চোদ্দো দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। 

মঙ্গলবার গ্রেফতারের পরই বিধাননগর পুর নিগমের ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়কে বিধাননগর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। তোলাবাজির অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে ৬টি ধারায় মামলা দায়ের করে পুলিস। কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ৩টি জামিন-অযোগ্য ধারা দেওয়া হয়েছে। 

আদালত কক্ষে ঢোকার পর মাথা নীচু করে বসেছিলেন অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলর। বিচারক এলে উঠে দাঁড়ান । শুরু হয় সওয়াল জবাব। অভিযুক্তের আইনজীবী সৌম্যদীপ রাহা বলেন, এফআইআর-এ নির্দিষ্টভাবে ঘটনাস্থলের উল্লেখ নেই। অভিযোগকারী সঙ্গে সঙ্গে থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করলেন না কেন? কেন তিনি প্রথমে সাংসদের কাছে গেলেন? কেন তারপর মেয়রের মাধ্যমে অভিযোগের চিঠি এল?

উত্তরে সরকারি আইনজীবী সাবির আলি বলেন, মার্চে ঘটনা ঘটার পর অনেক জায়গায় জানিয়েও কাজ না হওয়ায় অভিযোগকারী বাধ্য হয়ে  সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে যান। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় মেয়রকে চিঠি দেন। তারপর মেয়রের মাধ্যমে অভিযোগের চিঠি থানায় আসে। তাই, মার্চের মামলা জুলাইয়ে শুরু হয়েছে। কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে এরকম আরও অভিযোগ রয়েছে। সেজন্যই পুলিস কমিশনারকে চিঠি দেন মেয়র। 

সরকারি আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, একজন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ উঠবে কেন? তিনি বাড়ি গিয়ে নির্মাণ সংক্রান্ত জিনিসপত্র ফেলে দেন। লোক দিয়ে প্রাণে মারার হুমকি দেন। অভিযোগকারীর ব্রেন স্ট্রোক হয়ে যায়। তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। 

অভিযুক্তের আইনজীবী পাল্টা বলেন, কোনও টাকা হাতবদল হয়নি। পুলিস তাঁর মক্কেলকে হেফাজতে চায়নি। তার মানে তদন্তের জন্য তাঁর মক্কেলকে আর দরকার নেই। অভিযোগ ভিত্তিহীন। জনপ্রতিনিধি হওয়ায় অভিযুক্ত পালিয়ে যাবেন না। অভিযুক্তের রক্তচাপ বেশি। তাঁর জামিন মঞ্জুর করা হোক। 

সরকারি আইনজীবী অভিযোগ করেন, জামিন পেলে মামলার তথ্য-প্রমাণ নষ্ট করতে পারেন কাউন্সিলর। তিনি সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন। দু-পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে বিধাননগর মহকুমা আদালতের এসিজেএম অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের চোদ্দো দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। 

.