এবার দুর্নীতি জ্বালানি তেলে, ২৪ ঘণ্টার হাতে পুরসভার অডিট রিপোর্ট

ত্রিফলা, টোকেনের পর এবার জ্বালানি তেল। ফের কয়েক কোটি টাকার দুর্নীতি কলকাতা পুরসভায়। পুরসভার ইন্টারনাল অডিট রিপোর্টে উঠে এসেছে কোটি টাকার নতুন কেলেঙ্কারি। চব্বিশ ঘণ্টার হাতে পুরসভার সেই অডিট রিপোর্ট।

Updated By: Nov 15, 2013, 10:34 PM IST

ত্রিফলা, টোকেনের পর এবার জ্বালানি তেল। ফের কয়েক কোটি টাকার দুর্নীতি কলকাতা পুরসভায়। পুরসভার ইন্টারনাল অডিট রিপোর্টে উঠে এসেছে কোটি টাকার নতুন কেলেঙ্কারি। চব্বিশ ঘণ্টার হাতে পুরসভার সেই অডিট রিপোর্ট।
আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না কলকাতা পুরসভার। ২০১২-১৩ সালের ইন্টারনাল অডিটে সামনে এল গাড়ির জ্বালানি খাতে কয়েক কোটি টাকা নয়ছয়ের হিসেব। নথি খতিয়ে দেখতে গিয়ে কর্পোরেশনের সেন্ট্রাল গ্যারেজের নথিতে মিলেছে বিস্তর অসঙ্গতি।
প্রথমত, পুরসভার কাজে ব্যবহার হয়নি এমন গাড়ির জন্যও খরচ হয়েছে বহু লক্ষ টাকা। শুধুমাত্র দুহাজার বারোর সেপ্টেম্বর সালেই এইভাবে বাড়তি ৫৩ লক্ষ ৫৩ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। দ্বিতীয়ত, একই গাড়িতে পেট্রোল ও ডিজেলের জন্য দুবার করে খরচ দেখানো হয়েছে। তৃতীয়ত, অনেক ক্ষেত্রে ভুয়ো নথি তৈরির অভিযোগ উঠেছে।
আরও কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে অডিট রিপোর্টে। অনেক ক্ষেত্রেই গাড়ির তেলের ট্যাঙ্কে, যা তেল ধরে তার থেকে বেশি তেল ভরার হিসাব দেখানো হয়েছে। কর্পোরেশনের সেন্ট্রাল গ্যারাজে পনেরো হাজার লিটার করে পেট্রোল ও ডিজেল মজুত রাখা যায়। আশ্চর্যজনক হলেও কর্পোরেশনের নথি বলছে, দুহাজার তেরো সালের একত্রিশে মার্চ পুরসভার সেন্ট্রাল গ্যারাজে ষোল হাজার নশ দশ লিটার ডিজেল ও চব্বিশ হাজার সাতশ লিটার পেট্রোল মজুত ছিল।
 
অনেক সময়ই বিনা অনুমতিতে গাড়িতে তেল ভরা হয়েছে বলে অভিযোগ। অনেক ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট বিভাগের স্ট্যাম্প ছাড়াই স্টোর কিপাররা গাড়িতে তেল ভরার অনুমতি দিয়েছেন।  ত্রিফলা ও টোকেন কেলেঙ্কারির পর ফের আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগে রীতমতো অস্বস্তিতে পুরকর্তৃপক্ষ। রিপোর্ট সামনে আসায় ঘরে বাইরে চাপের মুখে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়।

.