কেষ্টপুর কাণ্ডের ২ অভিযুক্তের ১‍৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ

রাজারহাটের সমাজবিরোধী সত্য বাপুই এলাকার দখল নিতেই সরিয়ে দিতে চেয়েছিল তৃণমূল কর্মী স্বপন মণ্ডলকে। খড়দা এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতী কুতুব মারফত সে আবদুল্লাকে স্বপন মণ্ডল খুনের সুপারি দেয়। আবদুল্লাকে জেরা করেই এই তথ্য উঠে এসেছে পুলিসের কাছে।

Updated By: Dec 6, 2011, 05:46 PM IST

রাজারহাটের সমাজবিরোধী সত্য বাপুই এলাকার দখল নিতেই সরিয়ে দিতে চেয়েছিল তৃণমূল কর্মী স্বপন মণ্ডলকে। খড়দা এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতী কুতুব মারফত সে আবদুল্লাকে স্বপন মণ্ডল খুনের সুপারি দেয়। আবদুল্লাকে জেরা করেই এই তথ্য উঠে এসেছে পুলিসের কাছে। পুলিসের জেরায় ধৃত আবদুল্লা স্বীকার করে নেয় সেই গুলি করেছে স্বপন মণ্ডলকে। আজ তাকে বারাসত আদালতে তোলা হয়। আবদুল্লার চার দিনের পুলিস হেফাজত ও অন্য  দুই অভিযুক্ত বিশ্বজিত দাস ও রাধাকান্ত ঘোষের চোদ্দ  দিনের জেল হেফাজত হয়েছে। কেষ্টপুরে তৃণমূল কর্মী স্বপন মণ্ডল খুনের ঘটনায় সামনে চলে এসেছে সিন্ডিকেট ব্যবসা নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। নাম উঠেছে তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রীর। স্বপন মণ্ডল খুনের ঘটনাতেই সোমবার পুলিস গ্রেফতার করে শেখ আবদুল্লাকে। পুলিসের দাবি ইতিমধ্যেই জেরায় আবদুল্লা জানিয়েছে, স্বপন মণ্ডলকে  খুনের সময় সে-ই গুলি চালিয়েছিল। আবদুল্লার বিরুদ্ধে পুলিসের খাতায় বেশ কয়েকটি খুনের মামলাও রয়েছে। জেরায় পুলিস জানতে পারে আবদুল্লা খড়দা এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতী কুতুবের সহযোগী। রাজারহাটে সমাজবিরোধীদের দুই গোষ্ঠী সত্য ও শঙ্করের মধ্যে সত্যের গোষ্ঠীর সঙ্গে  কুতুবের যোগাযোগ ছিল। এই সত্যই কুতুবমারফত আবদুল্লাকে খুনের সুপারি দেয়। কারণ সত্য ও শঙ্করের সঙ্গে এলাকায় ক্ষমতা দখলের লড়াই ছিল স্বপন মণ্ডলের। আর তাই স্বপনকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিল সমাজবিরোধী সত্য বাপুই। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, তার পিছনে মদত ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের একটি গোষ্ঠীর।  মঙ্গলবার আবদুল্লাকে বারাসত আদালত তোলা হয়। আদালতে তোলা হয় খুনের ঘটনায় জড়িত আরও দুই অভিযুক্ত বিশ্বজিত দাস ও রাধাকান্ত ঘোষকে। আদালত আবদুল্লার চারদিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে । ধৃত অন্য দুই অভিযুক্ত বিশ্বজিত দাস ও রাধাকান্ত ঘোষের চোদ্দ্ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

রাজারহাটের সমাজবিরোধী সত্য ও শঙ্করের বিরোধিতা মেটানোর জন্য তৃণমূলেরই একটি গোষ্ঠী একসময় হস্তক্ষেপ করে বলে জানতে পেরেছে পুলিস। দুহাজার নয় সালের ডিসেম্বরে বাগুইআটি থানার পুলিস সত্য ও শঙ্করকে গ্রেফতার করে। দুহাজার এগারোর  জানুয়ারিতে ছাড়া পায় সত্য। এরপর ফ্রেব্রুয়ারিতেই  স্বপন মণ্ডলের উপর হামলা হয়। সেই ঘটনায় পুলিস সত্যকে ধরতে না পারলেও ছয় দুষ্কৃতী গ্রেফতার হয়। অভিযোগ, এরপর থেকেই তৃণমূলের একটি গোষ্ঠীর মদতে সে এলাকায় বেআইনি কাজকর্ম চালিয়েছে। এমনকী অভিযোগ, স্বপন মণ্ডলকে খুনের ছক কষা হয়েছিল স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে। আবদুল্লার পুলিস হেফাজতের পর সিন্ডিকেট সম্পর্কে আরও তথ্য মিলবে বলে আশা করছে পুলিস।

.