দেড়শো বছরে পা দিল হাওড়া-কালকা মেল
দেড়শো বছরে পা দিল কালকা মেল। গতকাল হাওড়া স্টেশনের নম্বর প্ল্যাটফর্মে এক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে পালিত হল শতাব্দী প্রাচীন এই ঐতিহ্যশালী ট্রেনের জন্মদিন। কেক কাটলেন পূর্ব রেলের জিআরএম। যাত্রীদের হাতে লজেন্সও তুলে দেওয়া হয়।
ওয়েব ডেস্ক: দেড়শো বছরে পা দিল কালকা মেল। গতকাল হাওড়া স্টেশনের নম্বর প্ল্যাটফর্মে এক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে পালিত হল শতাব্দী প্রাচীন এই ঐতিহ্যশালী ট্রেনের জন্মদিন। কেক কাটলেন পূর্ব রেলের জিআরএম। যাত্রীদের হাতে লজেন্সও তুলে দেওয়া হয়।
রাত সাতটা চল্লিশ। আপ হাওড়া-কালকা মেল রোজ এই সময়ই রওনা দেন। কিন্তু শুক্রবার ট্রেন ধরতে এসে ভিন্ন অভিজ্ঞতার স্বাক্ষী থাকলেন ট্রেনের যাত্রীরা। আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে হাওড়ার নয় নম্বর প্ল্যাটফর্ম। ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে কালকা মেলকেও। দেখতে দেখতে দেড়শ বছরে পা দিল ঐতিহ্যশালী এই দূরপাল্লার ট্রেন। অনুষ্ঠানকে স্মরণীয় করে রাখতে কেক কাটলেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত পূর্ব রেলের জিআরএম আর কে গুপ্তা।
যাত্রা শুরু ১৮৬৬ সালে। পোশাকি নাম ছিল ইস্ট ইন্ডিয়ান মেল। যাত্রাপথ হাওড়া থেকে ওল্ড দিল্লি। যাত্রাশুরুর দুবছরের মাথায় হঠাতই শৈলশহর সিমলাকে গ্রীষ্মকালীন রাজধানী ঘোষণা করে ব্রিটিশ সরকার। রেলকর্তারা ঠিক করেন ইস্ট ইন্ডিয়ান মেলটিকেই দিল্লি থেকে টেনে নিয়ে যাওয়া হবে কালকা পর্যন্ত। ট্রেনটির নতুন নাম হয় কালকা মেল। তবে পরিষেবা ও সময়ে পৌছনো নিয়ে অভিযোগ রয়েছে যাত্রীদের। দেরির বিষয়টি মেনে নিয়েছেন পূর্ব রেলের জিআরএমও।
রেলসূত্রে খবর, শুরুতে ট্রেনটি মাত্র ১১ টি কামরা থাকত। পরে কামরার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪। তবে ওই রুটে দুরন্ত, রাজধানীসহ একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন চালু হলেও কালকা মেলের গুরুত্ব বিন্দুমাত্র কমেনি বলেই দাবি করেছে রেল।