বিশ্ব ক্যান্সার দিবসে কলকাতার প্রথম সারির মেডিক্যাল কলেজে চূড়ান্ত দুরবস্থা
আজ বিশ্ব ক্যান্সার দিবস। সেই উপলক্ষে রাজ্যের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। আর ঠিক তখনই, কলকাতার একটি প্রথম সারির মেডিক্যাল কলেজে ক্যান্সার আক্রান্তদের চূড়ান্ত দুরবস্থার ছবি ধরা পড়ল আমাদের ক্যামেরায়। ঘটনাস্থল নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। হাসপাতাল চত্বরে ঢুকলেই চোখে পড়বে, রেডিওথেরাপি বিভাগের উল্টোদিকে পুকুরপাড়ে প্লাস্টিক খাটিয়ে রয়েছেন অসংখ্য মানুষ। মাঝে মধ্যেই পুলিস হানা দিয়ে তাঁদের হঠিয়ে দেয়।
ওয়েব ডেস্ক: আজ বিশ্ব ক্যান্সার দিবস। সেই উপলক্ষে রাজ্যের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। আর ঠিক তখনই, কলকাতার একটি প্রথম সারির মেডিক্যাল কলেজে ক্যান্সার আক্রান্তদের চূড়ান্ত দুরবস্থার ছবি ধরা পড়ল আমাদের ক্যামেরায়। ঘটনাস্থল নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। হাসপাতাল চত্বরে ঢুকলেই চোখে পড়বে, রেডিওথেরাপি বিভাগের উল্টোদিকে পুকুরপাড়ে প্লাস্টিক খাটিয়ে রয়েছেন অসংখ্য মানুষ। মাঝে মধ্যেই পুলিস হানা দিয়ে তাঁদের হঠিয়ে দেয়।
NRS হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগের বাইরে তাঁবু খাটিয়ে যাঁরা দিনের পর দিন রয়েছেন, তাঁরা কারা? উত্তর হল, তাঁরা সকলেই ক্যান্সার আক্রান্ত। কারো কেমোথেরাপি চলছে। কাউকে আবার রে নিতে হয় হাসপাতালের রেডিওথেরাপি বিভাগে। সপ্তাহে পাঁচদিন এইসব মানুষগুলোকে সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা নিতে হয়। কিন্তু হাসপাতালের ভেতরে এঁদের কোনও ঠাঁই নেই কেন? ক্যান্সারের মত একটি রোগের শিকার। অথচ তাঁদের জন্য সরকারি হাসপাতালে কেন নেই কোনও বেডের ব্যবস্থা? কেউ একমাস, কেউ দেড় মাস তো কেউ দুমাস ধরে এভাবেই তাঁবু খাটিয়ে, হাসপাতাল চত্ত্বরে খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন সকলে। প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা, পুলিসের চোখ রাঙানি...সবকিছুকে উপেক্ষা করে, বেঁচে থাকার জন্য সরকারি হাসপাতালে পড়ে রয়েছেন তাঁরা। যাঁদের বেশিরভাগেরই বাড়ি, রাজ্যের দূরবর্তী প্রান্তে। কারো বাড়ি কোচবিহার তো কেউ এসেছেন উত্তর দিনাজপুর থেকে। এভাবেই বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ এমনকি সুন্দরবন থেকেও চিকিত্সার জন্য মানুষ রাত কাটাচ্ছেন তাঁবুতে।
সকলেই ক্যান্সার আক্রান্ত। বেঁচে থাকার জন্য প্রতিদিন তাঁদের লড়াই করতে হচ্ছে। অথচ তাঁদের জন্যই নেই কোনও বেডের ব্যবস্থা। এ ব্যাপারে হাসপাতালের কী বক্তব্য? NRS কর্তৃপক্ষের যুক্তি, কেমো বা রে নিতে আসা রোগীদের জন্য বেডের কোনও ব্যবস্থা নেই হাসপাতালে। রেডিওথেরাপি বিভাগে শয্যা সংখ্যা এমনিতেই কম। ফলে তাঁদেরকে ভর্তি রাখতে হলে অন্য অনেক রোগী বেড পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন। সেটাও সম্ভব নয়। রোজ এক ঘণ্টা পরিষেবার জন্য দুমাস কাউকে ভর্তি রাখা যায় না বলেই জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।