বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবসে গড়ে তুলুন সতর্কতা
অটিজিম। শব্দটা যতটা চেনা, ঠিক ততটাই অচেনা। কেউ বলে পাগল, একটু তথাকথিত শিক্ষিতরা বলেন মানিসিক ভারসাম্যহীন, আবার করুণার চোখে কেউ কেউ বলে ওঠেন ওরা তো আসলে অবুঝ। একটু কষ্ট করে ভেবে দেখলে দেখবেন আমরাই আসলে অবুঝ। যারা বুঝে উঠতে পারি না অটিস্টিক পৃথিবীটাকে। আর বুঝেই যখন উঠতে পারি না তখন আর কীসের করুণা? কীসেরই বা ভালবাসার চেষ্টা? বরং ওদের উপেক্ষা করাই ভাল। আসলে বোধহয় করুণা, সহমর্মিতা, উপেক্ষা কোনওটাই চায় না অটিস্টিক পৃথিবী। আমি বা আপনি যা চাই ওরাই ঠিক তাই চায়। ভালবাসা আর ওদের নিজেদের মতো করে বোঝা। একটু ভেবে দেখলে দেখবেন আমরা প্রত্যেকেই আসলে এই দুটো জিনিসই চাই। চাই কেউ আমাদের নিজেদের মতো করে বুঝুক, ভালাবাসুক।
ওয়েব ডেস্ক: অটিজিম। শব্দটা যতটা চেনা, ঠিক ততটাই অচেনা। কেউ বলে পাগল, একটু তথাকথিত শিক্ষিতরা বলেন মানিসিক ভারসাম্যহীন, আবার করুণার চোখে কেউ কেউ বলে ওঠেন ওরা তো আসলে অবুঝ। একটু কষ্ট করে ভেবে দেখলে দেখবেন আমরাই আসলে অবুঝ। যারা বুঝে উঠতে পারি না অটিস্টিক পৃথিবীটাকে। আর বুঝেই যখন উঠতে পারি না তখন আর কীসের করুণা? কীসেরই বা ভালবাসার চেষ্টা? বরং ওদের উপেক্ষা করাই ভাল। আসলে বোধহয় করুণা, সহমর্মিতা, উপেক্ষা কোনওটাই চায় না অটিস্টিক পৃথিবী। আমি বা আপনি যা চাই ওরাই ঠিক তাই চায়। ভালবাসা আর ওদের নিজেদের মতো করে বোঝা। একটু ভেবে দেখলে দেখবেন আমরা প্রত্যেকেই আসলে এই দুটো জিনিসই চাই। চাই কেউ আমাদের নিজেদের মতো করে বুঝুক, ভালাবাসুক।
ভারতে এই মুহূর্তে অটিস্টিক মানুষের সংখ্যা ১ কোটি। ২০০৮ সাল থেকে ২ এপ্রিল দিন পালিত হয় বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস হিসেবে। সাধারণত কোনও শিশুর জন্মের ২ বছরের মধ্যে দেখা দেয় অটিজমের উপসর্গ। যা থাকে সারাজীবন। জেনে নেওয়া যাক অটিজম সম্পর্কিত কিছু অজানা তথ্য-
কারণ-
গবেষকরা মনে করেন জিনগত কারণের জন্যই ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে শিশুরা অটিজমে আক্রান্ত হয়। অনেক ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় কিছু রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলেও শিশুদের মধ্যে অটিজম দেখা দেয়।
লক্ষণ-
অটিস্টিক মানুষরা সমাজে মেলামেশা, মানুষের সঙ্গে সংযোগ গড়ে তোলা থেকে নিজেকে দূরে রাখেন। তাদের উত্সাহের ক্ষেত্রও হয় সম্পূর্ণ নিজস্ব। আচরণের মধ্যে লক্ষ্য করা যায় একঘেয়েমি।
তবে সব শিশুর ক্ষেত্রে উপসর্গ একরকম হয় না। বাবা, মায়েরা খেয়াল করে থাকবেন আপনার অটিস্টিক শিশু অন্যদের সঙ্গে খেলার থেকে নিজের সঙ্গে সময় কাটাতেই বেশি স্বচ্ছন্দ্য। অনেক সময় তারা আপনার সঙ্গেও চোখাচোখি এড়িয়ে যায়।
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অটিস্টিক শিশুদের বুদ্ধি স্বাভাবিকের থেকে কম হয়। কৈশোরে এরা অবসাদ ও উত্কণ্ঠায় ভোগে। অনেক সময় কৈশোরে এরা মৃগি জাতীয় রোগে আক্রান্ত হয়।
তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সময় মতো চিকিত্সা সমস্যা অনেক কমিয়ে আনতে পারে। বাবা, মায়েদের সতর্কতা শিশুদের জীবনে অনেক ক্ষেত্রেই আনতে পারে পরিবর্তন।
যত্ন ও পাশে থাকা
বাবা, মায়েদের ক্ষেত্রে অটিস্টিক শিশুদের শারীরিক ও মানসিক যত্ন অনেক ক্ষেত্রেই কঠিন হয়ে ওঠে। তাই শিশুর চিকিত্সার থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ বাবা, মায়ের সচেতনতা। একই সমস্যায় ভোগা অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে, আলোচনা করে, যোগাযোগ বাড়িয়ে গড়ে তোলা যায় সচেতনতা। নতুন প্রযুক্তি ও থেরাপির ব্যাপারে সঠিক তথ্য রাখাও জরুরি।
রোগ প্রতিরোধ
অটিজিম কখনই সারানো যায় না। তবে চিকিত্সার সাহায্যে শিশুদের ভাষার সমস্যা কাটানো যায়, সামাজিক যোগাযোগও উন্নত করা যায়। অটিজম বেশির ভাগ ক্ষেত্রে জিনগত কারণের জন্য দেখা দিলেও অনেক ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় রাসায়নিক বিক্রিয়ার জন্য দেখা দেওয়ার ফলে গর্ভাবস্থায় মদ্যপান, ড্রাগ নেওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত্। সেইসঙ্গে রুবেলা ভাইরাসের ভ্যাক্সিন রুখতে পারে অটিজম।