বিশ্ব হাঁপানি দিবসে জেনে নিন কারণ, লক্ষণ, মেনে চলুন সাবধানতা
প্রতিবছর মে মাসের প্রথম মঙ্গলবার পালিত হয় বিশ্ব হাঁপানি দিবস। সেইসঙ্গে গোটা মে মাস জুড়ে বিভিন্ন সতর্কীকরণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালন করা হয় হাঁপানি সতর্কতা মাস পালন করে গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ ফর অ্যাস্থমা বা জিআইএনএ। ১৯৯৮ সাল থেকে এই দিন পালন করে আসছে এই সংস্থা।
ওয়েব ডেস্ক: প্রতিবছর মে মাসের প্রথম মঙ্গলবার পালিত হয় বিশ্ব হাঁপানি দিবস। সেইসঙ্গে গোটা মে মাস জুড়ে বিভিন্ন সতর্কীকরণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালন করা হয় হাঁপানি সতর্কতা মাস পালন করে গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ ফর অ্যাস্থমা বা জিআইএনএ। ১৯৯৮ সাল থেকে এই দিন পালন করে আসছে এই সংস্থা।
এই বছর ৫ মে পালিত হচ্ছে বিশ্ব হাঁপানি দিবস। প্রতিবছর এই দিনের থিম থাকে আলাদা। এই বছর ইউ ক্যান কন্ট্রোল ইয়োর অ্যাস্থমা থিমে পালিত হচ্ছে বিশ্ব হাঁপানি দিবস। সেইসঙ্গেই রয়েছে সাব-থিম ইটস টাইম টু কন্ট্রোল অ্যাসথমা। ফুসফুসের সমস্যাজনিত কারণে শরীরে প্রয়োজনের তুলনায় মিউকাসের পরিমান বেড়ে যাওয়ায় শ্বাস-প্রশ্বাসে বাধা তৈরি হয়ে দেখা দেয় হাঁপানির সমস্যা।
শিশু বয়সে হাঁপানিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সবথেকে বেশি। যেই সমস্যা চলতে থাকে সারাজীবন। এই মুহূর্তে সারা বিশ্বে ২৩৫ মিলিয়ন শিশু ফুসফুসের সমস্যায় আক্রান্ত।
হাঁপানির কারণ-
হাঁপানিতে আক্রান্ত হওয়ার কারণ এখনও অজানা হলেও মূলত জিনগত ও পরিবেশগত কারণেই ফুসফুসে সংক্রমণ থেকে হাঁপানিতে আক্রান্ত হয় মানুষ। যেগুলো থেকে অ্যালার্জি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল-
ঘরের বিছানা, কার্পেট, আসবাবে জমে থাকা ধুলো
সিগারেটের ধোঁয়া
অফিসে ব্যবহৃত রাসায়নিক
ঠান্ডা হাওয়া
অত্যন্ত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেও উঠতে পারে হাঁপানির টান
লক্ষণ-
হাঁপানি ধরা পড়ার আগে দেখা দেয় কিছু লক্ষণ। যেমন-
কাশি-রাতে বা সকালে ঘুম থেকে উঠে অনবরত কাশির সমস্যা।
নাকে সোঁ সোঁ শব্দ হওয়া-শ্বাস-প্রশ্বাসে সোঁ সোঁ শব্দ হওয়া। বিশেষ করে ঘুমের মধ্যে বাড়ে এই আওয়াজ।
বুক শক্ত হয়ে ওঠা-বুকের মধ্যে চাপ বা ভারী ভাব অনুভব করা
শ্বাস-প্রশ্বাস ছোট হয়ে আসা- অনেক সময় মনে হয় শ্বাস-প্রশ্বাস ছোট হয়ে আসছে বা ফুসফুস প্রয়োজনমতো অক্সিজেন ভরতে পারছে না।
সাবধানতা-
ওষুধ খেয়ে সাময়িক ভাবে সমস্যা কমানো গেলেও দীর্ঘ সময় হাঁপানির ওষুধ না খাওয়াই ভাল। এতে অনেক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তার থেকে রোজকার জীবনে কিছু বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বন করলে রেহাই পাওয়া যেতে পারে সংক্রমণের হাত থেকে। এর মধ্যে রয়েছে-
শোওয়ার ঘর বা আসবাবে বাড়ির পোষ্যকে বেশি আসতে দেবেন না।
কার্পেট বা সফট টয় জাতীয় জিনিস বাড়িতে রাখবেন না।
কেউ ধুমপান করলে সেখানে যাবেন না।
মানসিক চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করুন।
যেকোনও মরসুমে অ্যালার্জি সম্পর্কে সচেতন থাকুন।
সবসময় সঙ্গে কুইক-রিলিফ হাঁপানির ওষুধ রাখুন।