এই কারণেই পিরিয়ডের সময় হজমের সমস্যায় ভোগেন মহিলারা

মাসের ওই দিনগুলিতে মেয়েরা এমনিতেই শারীরিকভাবে একটু কাহিল থাকে। পেটে যন্ত্রণা, কোমরে ব্যথা, বমি বমি ভাব। মেজাজও খিটখিটে হয়ে যায়। শুধু এখানেই যদি শেষ হত, তাহলেও একরকম ছিল। কিন্তু পিরিয়ডের দিনগুলিতে মেয়েদের হজমের সমস্যাতেও ভুগতে দেখা যায়। কেউ কেউ কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন। কেউ কেউ আবার ডায়রিয়ায়।

Updated By: Mar 18, 2017, 06:24 PM IST
এই কারণেই পিরিয়ডের সময় হজমের সমস্যায় ভোগেন মহিলারা

ওয়েব ডেস্ক : মাসের ওই দিনগুলিতে মেয়েরা এমনিতেই শারীরিকভাবে একটু কাহিল থাকে। পেটে যন্ত্রণা, কোমরে ব্যথা, বমি বমি ভাব। মেজাজও খিটখিটে হয়ে যায়। শুধু এখানেই যদি শেষ হত, তাহলেও একরকম ছিল। কিন্তু পিরিয়ডের দিনগুলিতে মেয়েদের হজমের সমস্যাতেও ভুগতে দেখা যায়। কেউ কেউ কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন। কেউ কেউ আবার ডায়রিয়ায়।

নষ্টের গোড়া প্রোজেস্টেরন
মহিলাদের ঋতুচক্রকে নিয়ন্ত্রণ করে মূলত দুটি হরমোন- ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন। চিকিত্সকরা বলছেন, এই প্রোজেস্টেরন হরমোনই হল যত নষ্টের গোড়া। পিরিয়ডের সময় দেহে হরমোনের ভারসাম্যে তারতম্য ঘটে। ঋতুচক্রের শুরু থেকে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে দেহে প্রোজেস্টেরনের মাত্রা। পিরিয়ড শুরুর ৫-৭ দিন আগে দেহে প্রোজেস্টেরনের মাত্রা হয় সর্বাধিক হয়। এখন প্রোজেস্টেরন হরমোন সাধারণত পেশীকে শিথিল করে। যার ফলে এইসময় কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। অন্যদিকে, ঋতুচক্রের একদম শেষদিকে হু হু করে নামতে থাকে প্রোজেস্টেরনের মাত্রা। ঠিক পিরিয়ড শুরুর সময়, তা হয় সর্বনিম্ন। যারফলে পিরিয়ড শুরুর দিনগুলিতে ডায়রিয়া দেখা দেয়।

২৮ শতাংশ স্বাস্থ্যবান মহিলা এই প্রোজেস্টেরন হরমোনের মাত্রার তারতম্যের কারণেই ডায়রিয়ায় ভুগে থাকেন। এছাড়া, প্রোস্টাগ্ল্যানডিনসের কারণেও ডায়রিয়া হয়। প্রোস্টাগ্ল্যানডিনস হল একাধিক হরমোনের সমষ্টি। যা ক্ষুদ্রান্তে জলের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে উদরপীড়া ও আমাশয় দেখা দেয়।

জিনগত সমস্যা
এর আরেকটি কারণ হতে পারে জিনগত। বংশানুক্রমে কোনও জিনগত সমস্যা থাকলে, তা জননতন্ত্রে প্রভাব ফেলে। নানান ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়।

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা
৯৩ শতাংশ মহিলা এই সময় IBS বা ইরিটেবল বওয়েল সিনড্রোমে ভোগেন। যার মূলে রয়েছে গ্যাস্ট্রিক। পিরিয়ডের সময় তা আরও বাড়ে।

আরও পড়ুন, ওভারিয়ান সিস্টের উপসর্গগুলি জেনে নিন, সাবধান হোন

.