ঘরোয়া উপায়ে নিয়ন্ত্রণে রাখুন গাঁটের ব্যথার সমস্যা
ম্যাগনেসিয়াম সালফেট বা এপসম সল্ট সমৃদ্ধ সৈন্ধব লবন যে কোনও ব্যথা-বেদনা উপশমে খুবই কার্যকরী।
হাঁটু বা গাঁটের ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছেন? চলাফেরার স্বাভাবিক ছন্দ, গতি কী কমে আশছে ধীরে ধীরে? এই সমস্যা মূলত অনিয়মিত ডায়েট, ক্যালসিয়ামের অভাব আর শরীরচর্চার ঘাটতির ফলে দিনে দিনে বাড়তে থাকে। বর্তমানে চূড়ান্ত ব্যস্ততার যুগে যে কোনও বয়সেই এই সমস্যা শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। আসুন এ বার জেনে নেওয়া যাক ঘরোয়া পদ্ধতিতে গাঁটের ব্যথা উপশমের সহজ উপায়।
মেথি: যে কোনও জ্বালা-যন্ত্রণা কমাতে মেথি অত্যন্ত কার্যকরী। গাঁটের ব্যথায় কষ্ট পেলে নিয়মিত সামান্য উষ্ণ জলে মেথি ভিজিয়ে খেতে পারেন। সারা রাত এক গ্লাস জলে মেথি ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে সেই মেথি ভেজানো জল খেলেও উপকার পাওয়া যেতে পারে।
ঠান্ডা-গরম সেঁক: জল গরম ‘হট ওয়াটার ব্যাগ’-এ করে ব্যথার জায়গায় ১০ মিনিট ধরে সেঁক দিন। জায়গাটা গরম হয়ে উঠলে সেখানে বরফ দিয়ে ঘষে ঘষে মালিশ করুন। এই ভাবে মোটামুটি ৩০-৪০ মিনিট ঠান্ডা-গরম সেঁক দিন। নিয়মিত এই ভাবে ঠান্ডা-গরম সেঁক দিলে গাঁটের ব্যথার সমস্যা অনেকটাই কমে হয়ে যাবে।
লবন জলের সেঁক: ম্যাগনেসিয়াম সালফেট বা এপসম সল্ট সমৃদ্ধ সৈন্ধব লবন যে কোনও ব্যথা-বেদনা উপশমে খুবই কার্যকরী। ছোট এক কাপ সৈন্ধব লবন জলের মধ্যে গুলে নিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এ বার সেটা ফুটিয়ে ব্যথার জায়গায় ৩০-৪০ মিনিট ধরে সেঁক দিন। এই ভাবে নিয়মিত সেঁক দিলে গাঁটের ব্যথায় দ্রুত উপকার পাওয়া যেতে পারে।
হলুদ ও আদার মিশ্রণ: দু’কাপ জলে হলুদ ও আদা ফুটিয়ে নিন। গরমে ফুটে যখন মোটামুটি আধ-কাপের মতো হয়ে যাবে তখন সেটিকে আঁচ থেকে নামিয়ে নিন। এ বার হলুদ-আদার ওই মিশ্রণে এক চামচ মধু মিশিয়ে দিনে অন্তত বার দুয়েক করে নিয়মিত খেলে পেইন কিলার ছাড়াই গাঁটের ব্যথার সমস্যা অনেকটাই কমে হয়ে যাবে।
গাজর-লেবুর মিশ্রণ: দু’টো মাঝারি মাপের গাজরের রস করে তাতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে সেটি খালি পেটে খেয়ে নিন। নিয়মিত এই মিশ্রণ খেলে অল্প সময়ের মধ্যেই গাঁটের ব্যথায় উপকার পাওয়া যেতে পারে।
লঙ্কা গুঁড়ো ও নারকেল তেলের মিশ্রণ: চিকিত্সকদের মতে, গাঁটের ব্যথা কমাতে ক্যাপসাইসিন খুবই কার্যকরী একটি উপাদান। লাল লঙ্কাতে মিলবে এই ক্যাপসাইসিন। আধ-কাপ নারকেল তেলে দু’চামচ লঙ্কা গুঁড়ো মিশিয়ে ব্যথার জায়গায় ২০ মিনিট ধরে মালিশ করুন। এর পর উষ্ণ জলে জায়গাটা ভাল করে পরিষ্কার করে ফেলুন। দিনে অন্তত ৩-৪ বার এই ভাবে মালিশ করলে গাঁটের ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে।