জড়িয়ে ধরাই পেশা, মাসে লক্ষাধিক আয় এই মহিলার

গ্রাহকদের কাছ থেকে ৮০ মার্কিন ডলার করে নেন। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৫৬০০। এভাবে তিনি প্রতি সপ্তাহে ৪৫ ঘণ্টা গ্রাহকদের সঙ্গে সময় কাটান। আর তাতেই মাসে তাঁর রোজগার হয় কয়েক লক্ষ টাকা।

Updated By: Jan 15, 2019, 01:52 PM IST
জড়িয়ে ধরাই পেশা, মাসে লক্ষাধিক আয় এই মহিলার

নিজস্ব প্রতিবেদন: ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট কোলিন্দা গ্র্যাবার কিতরোভিচকে মনে আছে! গত বছরই বিশ্বকাপের সময় যাঁর 'জাদু কি ঝাপ্পি' ভাইরাল হয়েছিল। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান থেকে ফুটবলার, প্রায় সকলকেই জড়িয়ে ধরতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।

আরও পড়ুন: ইউরিন ইনফেকশনের লক্ষণগুলি চিনে নিন, জেনে নিন ঘরোয়া প্রতিকার

কিন্তু তাঁর এই প্রয়াস তো ছিল সৌজন্যের জন্য। এবার এমন একজন মহিলার খোঁজ মিলল, যাঁর কাছে এই 'জাদু কি ঝাপ্পি' দেওয়াটাই পেশা। আর এভাবে তিনি মাসে প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা রোজগার করছেন।

ওই মহিলার নাম রবিন স্টেইন। তিনি থাকেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। তিনি একজন পেশাদার কাডলিস্ট। তাঁর কাজই জড়িয়ে ধরা। তাঁর একটি ওয়েবসাইট রয়েছে। ওই সাইটের মাধ্যমে তিনি গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

তার পর গ্রাহকদের সঙ্গে এক থেকে চার ঘণ্টা সময় কাটান। এই সময়ে তাঁর কাজ হল শুধু গ্রাহকদের জড়িয়ে ধরা। কখনও সামনে থেকে জড়িয়ে ধরেন। কখনও বা পিছন থেকে  জড়িয়ে ধরেন।

এর জন্য তিনি গ্রাহকদের কাছ থেকে ৮০ মার্কিন ডলার করে নেন। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৫৬০০। এভাবে তিনি প্রতি সপ্তাহে ৪৫ ঘণ্টা গ্রাহকদের সঙ্গে সময় কাটান। আর তাতেই মাসে তাঁর রোজগার হয় কয়েক লক্ষ টাকা।

কিন্তু তিনি কেন এমন কাজ করেন? রবিন স্টেইনের কথায়, এখন সকলেই ব্যস্ত। ব্যস্ততার জন্য একটু একটু করে আত্মীয়-পরিজনদের থেকে সরে যাচ্ছেন অনেকেই। মনের মধ্যে ভিড় করছে একাকিত্ব, হতাশা। আর তা দূর করতেই এই পদ্ধতির সাহায্য নিতে চান অনেকে। তাঁরাই আসেন রবিনের কাছে। পুরুষ থেকে মহিলা, কিশোর-কিশোরী থেকে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা সকলের জন্যই রবিন 'জাদু কি ঝাপ্পি' দেন।

তাঁর কথায়, গোটা বিষয়টিই বৈজ্ঞানিক। যেমন সামনে থেকে জড়িয়ে ধরাকে বলে কাডলিং। পিছন থেকে জড়িয়ে ধরার নাম স্নুপিং। আর জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়াকে বলা স্নুগলিং। এই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করেই মানুষের একাকিত্ব কাটাতে সাহায্য করছেন রবিন। তবে সঙ্গে একটা শর্তও রাখেন। আগেই তিনি গ্রাহককে জানিয়ে দেন যে সেশনের সময় তিনি পুরো পোশাকেই থাকবেন।

আরও পড়ুন: অবাঞ্ছিত গর্ভাবস্থার ঝুঁকি এড়াতে পিরিয়ডের সময় সঙ্গম কতটা নিরাপদ?

রবিনের প্রেমিকও বিষয়টি জানেন। আর এ বিষয়ে তাঁর কোনও আপত্তিও নেই। প্রেমিককেও সপ্তাহের দশ ঘণ্টা 'জাদু কি ঝাপ্পি' দেন। আর পোষ্য বিড়ালের সঙ্গে সময় কাটান সপ্তাহের সাত ঘণ্টা। তার মাঝেই অন্যদের একাকিত্ব কাটান রবিন।

.