কনজাংটিভাইটিস হয়েছে? জেনে নিন কয়েকটি জরুরি বিষয়
জেনে নেওয়া যাক কনজাংটিভাইটিসে আক্রান্ত হলে কোন কোন বিষয়ে সতর্ক হওয়া জরুরি...
নিজস্ব প্রতিবেদন: চোখের এই সমস্যার প্রচলিত নাম ‘জয়বাংলা’। অনেকে একে ‘চোখ উঠেছে’ বলেও ব্যাখ্যা করে থাকেন। তবে চিকিত্সকেরা একে বলেন কনজাংটিভাইটিস। চোখের মারাত্মক কোনও সমস্যা না হলেও কনজাংটিভাইটিস বা ‘পিঙ্ক আই’ অত্যন্ত অস্বস্তিকর। কনজাংটিভাইটিস হলে চোখ লাল হয়ে ফুলে ওঠে, জ্বালা করে, চোখ কটকট করে, চোখ থেকে জল পড়ে এমনকি সমানে পিচুটি (শ্লেষ্মা জাতীয় পদার্থ) কাটার মতো সমস্যাও দেখা যায়। কনজাংটিভাইটিস হলে চড়া আলোতেও তাকাতে খুব কষ্ট হয়। কখনও কখনও হলদে রঙের পুঁজও সৃষ্টি হয়। সাধারণত এক সপ্তাহের মধ্যেই ধীরে ধীরে এই সমস্যাগুলি কমে আসে। তবে আরও বেশ কিছুদিন দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে থাকে। অনেক সময় চোখের মণি বা কর্নিয়াতে সাদাটে ছোপ পড়ে যায়। যাদিও খালি চোখে তা দেখা বা বোঝা যায় না।
আরও পড়ুন: জেনে নিন ইউরিন ইনফেকশনের প্রাথমিক লক্ষণ আর কয়েকটি অব্যর্থ ঘরোয়া প্রতিকার
বিশেষজ্ঞদের মতে, কনজাংটিভাইটিসে আক্রান্ত হলে বা চোখ লাল হওয়া বা কটকট করার মতো উপসর্গ লক্ষ্য করলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিত্সকের পরামর্শ মেনে উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। এ বার জেনে নেওয়া যাক কনজাংটিভাইটিসে আক্রান্ত হলে কোন কোন বিষয়ে সতর্ক হওয়া জরুরি...
কনজাংটিভাইটিসে প্রয়োজনীয় সতর্কতা:
১) আগুন, তাপ, ধুলোবালি, চড়া আলো বা রোদ এড়িয়ে চলা জরুরি।
২) ময়লা-আবর্জনাযুক্ত, স্যাতসেঁতে জায়গা এড়িয়ে চলা জরুরি।
৩) অপরিষ্কার হাত বা কাপড় দিয়ে চোখ মুছবেন না।
৪) এই সময় নদী বা পুকুরে স্নান করা বিপজ্জনক হতে পারে!
৫) যত দিন না কনজাংটিভাইটিস পুরোপুরি সেরে যাচ্ছে, তত দিন অধিকাংশ সময় চোখে কালো চশমা পরে থাকুন।